Advertisment

দুর্ঘটনা কমিয়েছে 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ',দাবি কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রচার কলকাতায় ট্র্যাফিক সংক্রান্ত ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেছে, কাজেই কমেছে দুর্ঘটনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ" প্রচারাভিযানের সাহায্যে দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে।

দুর্ঘটনা কমেছে তিলোত্তমায়। আর এ জন্য বাহবা দেওয়া হল 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' অভিযানকে। ২০১৪ সালে যে পরিমানে দুর্ঘটনা ঘটেছে শহর কলকাতায়, তার তুলনায় পরবর্তী বছরগুলির পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক। এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের শীর্ষকর্তা।

Advertisment

ডিসি ট্রাফিক সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' প্রচারভিযানের সাহায্যে দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি এই অভিযানকে আরও ব্যাপকভাবে প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শহর জুড়ে রেড লাইট ভায়োলেশন ডিটেকশন (আরএলভিডি) ক্যামেরা এবং স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট চিনে ফেলার মত স্মার্ট ক্যামেরা বসানো হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে তা রোধ করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই প্রচারাভিযানের জন্য সোশাল মিডিয়া অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছে বলেও জানান তিনি। এর ওপর ভিত্তি করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন: শিল্প, গল্প দিয়ে ক্যান্সার জয় কলকাতার তৃণার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রচার কলকাতায় ট্র্যাফিক সংক্রান্ত ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেছে। আর এর ফলেই সার্বিকভাবে কমেছে পথ দুর্ঘটনা।

২০১৪ সালে, ৪৩১ টি মামলা নিবন্ধিত করা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৫০। ২০১৫ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৪১২, যার মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা রয়েছে ৪২২ জনের। ২০১৬ সালে যখন 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে'র প্রচার শুরু হয়, সে বছর দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে ৩৮৮, যার মধ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৪০৭ জনের। ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২৯ জন, যার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩১৮। গত বছর ২৮২ টি মামলা নিবন্ধিত হয়, এবং তাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯৩ জন। যা ২০১৪ সালের পরিসংখ্যানের অর্ধেক। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান,"২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, রাস্তায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। এ ধরনের পথ দুর্ঘটনা আরও কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে"।

রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, এনজিও কর্ময়গ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' ​​প্রচারাভিযানের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, ২০১৩ সালের ৮ জুলাই, গোটা রাজ্য জুড়ে জনস্বার্থে চালু করেন এই অভিযান। শুধু যে খোদ কলকাতায় নয়, গ্রামাঞ্চলেও পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও ছিল বেশি। পুলিশ দুর্ঘটনা-প্রবণ এলাকায় ক্যামেরা বসিয়েছে, ট্রাফিক পুলিশকে আরও সরঞ্জাম এবং মোটরবাইক সরবরাহ করছে সরকার।

আরও পড়ুন: ১০০ কোটির বাজেট নিয়ে আকাশপথে নজরদারি সাগরে

প্রতি সপ্তাহে পথ দুর্ঘটনার সচেতন বার্তা সোশাল মিডিয়া ও বিভিন্ন ধরনের পোস্টারের মাধ্যমে জানান দেওয়া হয় আমজনতাকে। পাশাপাশি কর্মকান্ডকে আরও জোরদার করার প্রক্রিয়াও চলে। পুলিশ সূত্র জানা যাচ্ছে, এই পদক্ষেপে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। হাওড়া, হুগলি,পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও নাদিয়া জেলায় জরিমানা আরোপ করার সময় পুলিশ ই-চালানের পদ্ধতি শুরু করেছে।

গত বুধবার, বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় কঠোরভাবে নিরাপত্তা নিয়মের বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি জেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কাহীন চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এবং 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' প্রচারকে ​বাস্তবায়িত করার প্রতি জোর দেন।এদিন মঞ্চ থেকে দিনে-রাতে ঘটা দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত বছর কলকাতা পুলিশের কর্মসূচী 'জয় হো' চলাকালীন সরকার নেত্রী বলেন, "আমরা প্রমাণ করেছি যে, আমরা (পশ্চিমবঙ্গ) আজ যা ভাবি, ভারত আগামীকাল তা ভাবে, "সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ" প্রচার দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়েছে।"

Read the full story in English

Mamata Banerjee
Advertisment