Kolkata doctor's case: আরজি কর হাসপাতালে সুষ্ঠ কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গতকাল আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে একদফা আলোচনা করা হয়। যদিও আলোচনা ফল্প্রসু না হওয়ায় রাজ্যের জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তাররা আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিপ্তে নিরাপদ কাজের পরিবেশের দাবিতে, তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন। এদিকে চিকিৎসকদের আন্দোলন জারি থাকায় কলকাতা পুলিশ আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩১ অগস্ট পর্যন্ত হাসপাতাল চত্ত্বরে যে কোন ধরণের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
সিবিআই আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে এসআইটি্র হাত থেকে তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সকাল থেকেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ডেরা সহ শহরের অন্যান্য ১৪টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-র হাত থেকে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে হস্তান্তর করে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের রহস্যভেদে মরিয়া সিবিআই। আদালতের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষ, সঞ্জয় রায় সহ ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকালই সিবিআই আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়। এর জন্য দিল্লি থেকে উড়ে আসেন সিবিআইয়ের বিশেষ দল। আজ রবিবার আরজি কর কাণ্ডে এক মাত্র ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয় বলেই জানা গিয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘ চার ঘন্টা পর জেল থেকে বেরিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিন সিবিআই অভিযানের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলনে করেন আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকরা। সেখান থেকে গতকালে স্বাস্থ্য ভবনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসংবেদনশীল আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।পাশাপাশি জানানো হয়েছে আলোচনা করতে গেলে সকলের সামনে সমস্ত দাবি মেনে আলোচনা করতে হবে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জুনিয়ার চিকিৎসকরা দাবি করেছেন ৯ অগাস্ট রাতে যে নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আরজি কর তাতে দোষীদের উদ্দেশ্য কী তা এখনও জানা যায় নি। সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতারও হয় নি। ফলে উদ্দেশ্য সামনে না এলে চিকিৎসকদের উপর ভবিষ্যতে এ ধরণের হামলা হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? অর্থাৎ বারে বারে যে চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে তাঁদের সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি।
< Modi on RG Kar Incident: মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য, আরজি কর কাণ্ডে গর্জে উঠলেন মোদী >
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তথ্যপ্রমাণ লোপাটে যে বা যারা জড়িত, তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে সন্দীপ ঘোষকে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে বিনীত গোয়েলকে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, আগামী কাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে গণ সম্মেলন থেকে তাঁদের দাবিকে আরও জোরালোভাবে সর্বসমক্ষে তুলে ধরা হবে।