/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/mamata-759-new-new.jpg)
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দুর্গাপুজোর মণ্ডপে কোনো ভিআইপি গেট রাখা যাবে না, শুক্রবার কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে তাঁর ভাষণে এমনই বিধান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শারদীয়া উৎসব উপলক্ষ্যে কলকাতা পুলিশ আয়োজিত প্রশাসনিক ও সমন্বয় বৈঠকে তাঁর তিন মন্ত্রী তথা শহরের তিনটি বড় পুজোর কর্ণধার অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু ও ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুজো মন্ডপে লাইন একটাই হবে। সামান্য একটা কাগজের টুকরো দেখিয়ে আগে আগে প্যান্ডেলে ঢুকে যাবে। আর কিছু মানুষ বহুক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকবে, এমনটা এবছর থেকে হতে দেওয়া যাবে না।"
পাশাপাশি পুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলির অনুদান বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। মহিলা পরিচালিত পুজোর ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি অনুদানের কথাও বলেন তিনি।
ভিআইপি গেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুজোর পাঁচ দিন লালবাতি জালিয়ে হুটার বাজিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরোনো যাবে না। যদি একান্তই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে হয়, তাহলে সকালে ঘুরে আসবেন। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করবেন না।" একইসঙ্গে অকারণে কোনো "বড় সেলিব্রিটিকে" মণ্ডপে না আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "এতে ভিড় সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।"
বৈঠকে পুজো কার্নিভ্যাল ও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার দিনও ঘোষণা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ১১ অক্টোবর কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হবে রেড রোডে। ৮ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ি ও ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি ক্লাবকে দুর্গাপুজো করার জন্য এবছর ২৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে, তবে প্রতিটি ক্লাব যেন "কাগজপত্র ঠিক রাখে", সেই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, পুজো মণ্ডপের বিদ্যুতের বিলে ২৫ শতাংশ ছাড় দেবে সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড। দমকলের জন্য অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভা ও বিজ্ঞাপনের জন্যও ট্যাক্স দিতে হবে না। যেসব পুজোর উদ্যোক্তা প্রধানত মহিলারা, সেসব পুজো বা ক্লাবকে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা করে দেবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি জানান, পুজোর পাঁচদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে জল সরবরাহ করা হবে প্রতিটি মণ্ডপে।
প্রতি বছরের মতোই এবারও সমন্বয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্বধর্মের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকেই তাঁদের সম্প্রদায়ের তরফে বক্তব্য রাখেন।