নয়া মোড় নিল রাজীব কুমার মামলা। আইনি সুরক্ষার সময় বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। পশ্চিমবঙ্গে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে, এ কারণ দেখিয়েই সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন রাজীব।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এ মামলায় রাজীব কুমারের গ্রেফতারের অন্তর্বতী রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে গ্রেফতার করতে আর কোনও বাধা রইল না সিবিআইয়ের। তবে আইনি পদক্ষেপের জন্য রাজীব কুমারকে সাত দিনের সময় দিয়েছে আদালত। ফলে গত শুক্রবারের পর থেকে সাত দিনের মধ্যে রাজীবকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই, এমনই নির্দেশ দেয় আদালত। এই সাতদিনের মধ্যে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সেই সাতদিনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানালেন রাজীব।
আরও পড়ুন: বেকায়দায় রাজীব কুমার, গ্রেফতারির রক্ষাকবচ প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টের
বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৭ মে-র নির্দেশ দিয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ, ফলে রাজীব কুমাররা বিষয়টির শুনানি নিবন্ধীকরণের জন্য যথাযথ বেঞ্চের কাছে যেতে পারেন।
রাজীবে কৌঁশুলিকে বেঞ্চ বলেছে, "আপনি একজন আইনজীবী হিসেবে জানেন যে প্রধান বিচারপতিই রোস্টার স্থির করেন।"
প্রসঙ্গত, সারদাকাণ্ডের তদন্তে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ বারবার জানিয়ে এসেছে সিবিআই। সারদা তদন্তে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ফেব্রুয়ারিতে শিলংয়ে রাজীব কুমারকে টানা পাঁচদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পরও সন্তুষ্ট হয়নি দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তের স্বার্থে রাজীবকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন, এই আর্জিই আদালতে রাখে সিবিআই।
অন্যদিকে, তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন, ফলে, তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলে আদালতকে জানান রাজীব কুমার। একইসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ সামনে আনেন রাজীব। বিজেপি নেতাদের মদতেই সিবিআই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রাজীব।