ফের শহরের বুকে সন্ধান মিলল জাল নোটের। নারকেলডাঙা থানার অন্তর্গত মহারানী স্বর্ণময়ী স্ট্রীটে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের জাল নোট সংক্রান্ত বিভাগের হাতে ধরা পড়ল মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মজুমদার ওরফে রাজা (৩৬), তিলজলা রোডের মহম্মদ আক্রম আলি (৩৮), মালদার আনারুল হক ওরফে সাদ্দাম (২৩), এবং তপসিয়া রোডের মহম্মদ গুড্ডু কুরেশি (২২) নামে চার জাল নোট চক্রি। ওই চারজন নিজেদের মধ্যে নোট চালাচালি করছিল বলে খবর।
আরো পড়ুন: দু’হাজার টাকার নোট ছাপার হার কমাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
ধৃত চারজনের কাছ থেকে ৪,২৫,০০০ টাকার জাল নোট পাওয়া যায়, যার মধ্যে ছিল দু'হাজার টাকার ১৬৩ টি নোট ও ৫০০ টাকার ১৯৮ টি নোট। চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-খ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪৮৯-খ (জাল নোট আসল বলে চালানোর চেষ্টা) এবং ৪৮৯-গ (জাল নোট নিজের কাছে রাখা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত অভিযুক্তদের আজ প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়েছে।
নভেম্বর মাসের শেষে একই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে জাল নোট উদ্ধার করা হয়। শুধু তাই নয়, সেবারও কার্যত জাল নোটের আঁতুড়ঘর মালদার সঙ্গেই যোগ মেলে। সেবার নারকেলডাঙা থানা এলাকা থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এ ঘটনায় ধৃত দুই ব্যক্তিই মালদার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এখানেই শেষ নয়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শহরের বড়তলা থানা এলাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যাদের মধ্যে পরাণ মণ্ডল (২০) মালদার বাসিন্দা, এবং মহেন্দ্র প্রসাদ ওরফে নরেন্দ্র (৩৫) ও পাপ্পু প্রসাদ (৩৫) বিহারের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া জাল নোটগুলির সবকটিই দু'হাজারের নোট বলে জানায় পুলিশ।