রাতের কলকাতায় পরিত্যক্ত গুদামে আগুন লেগে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল। দাউদাউ করে জ্বলে উঠল হাইড রোডের এক পরিত্যক্ত গুদাম। গত আট বছর ধরে ওই গুদামটি বন্ধ। সেখানেই ডাই করা ছিল পুরোনো বহু পোশাক। আর তাতেই আগুন লেগে দ্রুত ছড়িয়ে পড় লেলিহান শিখা। সন্ধে সাতটা নাগাদ ওই গুদামে আগুন লাগার খবর পৌঁছয় দমকল কর্মীদের কাছে। কিন্তু, তারপর চারঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকল। বরং আগুন নেভাতে তাঁরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তাঁরাই পরিত্যক্ত ওই গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে দমকলে খবর দিয়েছিলেন। ওই গুদাম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সেখানে কীভাবে আগুন লাগল তা, তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না বলেই স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ঘটনার পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দমকলের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। চলছে পুরোদস্তুর আগুন নেভানোর কাজ।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে ‘দৌড়ঝাঁপ’ শুভেন্দুর, কাল ডেডলাইনের শেষ তারিখ নিয়ে ‘সাবধানবাণী’ কুণালের
তবে, দমকল সূত্রে খবর বিপদ এড়ানো গিয়েছে। আগুন যাতে আর ছড়াতে না-পারে, সেজন্য সম্ভাব্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কী থেকে এই আগুন লেগেছে, তা আগুন নেভানোর পর অনুসন্ধানের মাধ্যমে বোঝা যাবে বলেই দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, যে গুদামে আগুন লেগেছে, তার আশপাশেও বেশ কয়েকটি গুদাম আছে। সেই গুদামগুলো আবার পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে। তাই সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও দমকল আধিকারিকদের দাবি, সেই সম্ভাবনা আটকানো গেছে। ওই গুদামগুলোয় যাতে আগুন না-ছড়ায়, তার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছেন দমকলের কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দমকল কর্মীরা আসার আগে তাঁরা নিজেরাই সাধ্যমত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন। এই গুদামে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে কি না, তা নিয়েও তাঁদের মনে সন্দেহ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা একটা গুদামে কীভাবে আগুন লাগতে পারে, তা তাঁদের মাথায় ঢুকছে না-বলেই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁরা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি পুরোদস্তুর খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।