কলকাতায় একটা ইঁদুর দৌড়- এখনও পর্যন্ত, ইঁদুররা কেবল এটাই করেনি। বাকি কিছুই করতে বাদ রাখেনি। এখনও পর্যন্ত অন্তত দুটি কংক্রিটের ফ্লাইওভারের ভিত খুঁড়ে ফেলেছে। ভূগর্ভস্থ পয়ঃনিষ্কাশন এবং তারের লাইনে কুঁচকে দিয়েছে। দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতার বস্তি এবং খাবারের জায়গা থেকে শুরু করে ঔপনিবেশিক যুগের বিল্ডিং পর্যন্ত- শহরের বেশিরভাগ অংশ দখল করেছে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (কেএমসি), এসপ্ল্যানেডে বিধানসভা- কোনটাই ছাড়নি। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরসভা এই সমস্যা সমাধানের যাবতীয় চেষ্টা চালিয়েছে।
এককথায়, প্রশাসন বিপদঘণ্টা বাজিয়েছে। বর্জ্য সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেছে। ইঁদুরদের নির্মূল করার জন্য অন্যান্য রাজ্য থেকে কায়দা জেনে এসেছে। তৃণমূল নেতা এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা এখনও তারের এবং তারের লাইনের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে না-পারলেও, 'ইঁদুর একটি বড় সমস্যা।' মেয়র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'আমরা ইঁদুরের সংখ্যা সম্পর্কে জানি না। তবে, এর প্রভাব প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি। আমাদের পয়ঃনিষ্কাশন লাইন, ভূগর্ভস্থ তার এবং বিদ্যুতের তারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।' কেএমসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে মধ্য কলকাতা, যেখানে ফুটপাথগুলো অফিসের ভিড়ের সময় খাবার সরবরাহের জন্য বিখ্যাত, দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া এবং ভবানীপুরের বস্তি অঞ্চলগুলো ইঁদুরের উৎপাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন- ১৩ তলায় ‘রামভক্তে’র দাপাদাপি! ঠিক উপর তলাতেই বসেন মুখ্যমন্ত্রী
দুই বছর আগে ঢাকুরিয়া ব্রিজ ফ্লাইওভারের অ্যাপ্রোচ রোড ডুবে যাওয়ার বিষয়ে কেএমসিকে সতর্ক করা হয়েছিল। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা কংক্রিট দিয়ে রাস্তা মজবুত করেছি। কিন্তু, সমস্যা থেকে গেছে। তারপরে আমরা ভূগর্ভস্থ এই বিশাল গর্তগুলি খুঁজে পেয়েছি। এগুলোর মধ্যে ইঁদুর গর্ত করে ফেলেছিল। তখন বুঝতে পারি যে কী কারণে ক্ষয়ে গিয়েছে।' মেয়র ইঁদুরদের এই বাড়াবাড়ির কারণ হিসেবে হাকিম বলেছেন, রাস্তার ওপর ভোজনরসিকরা খাবারের বর্জ্য ফেলেন, সেই কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ঢাকুরিয়া ব্রিজ এলাকাটি শহরের সবচেয়ে খারাপ ইঁদুর উপদ্রুত স্থানগুলোর অন্যতম। এর নীচের বস্তির বাসিন্দারা বলেছেন যে, প্লাস্টারের টুকরো পর্যন্ত সেতু থেকে খসে পড়েছে। যার জন্য নাকি ইঁদুরই দায়ী। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে ইঁদুর সামলাতে না-পারলে বড় বিপদ অপেক্ষা করে আছে মহানগরী কলকাতার জন্য। আর, এই জন্যই যেন শহর কলকাতার এখন সবচেয়ে বেশি সরকার হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালার।
কেএমসি সূত্র জানিয়েছে যে ইঁদুরগুলো দক্ষিণ কলকাতার এজেসি বোস ফ্লাইওভারের কিছু অংশেরও ক্ষতি করেছে। ফাউন্ডেশনের চারপাশে মাটি খুঁড়ে তা আলগা করেছে। কোনও সমাধান চোখে না-পড়ায় কর্পোরেশন ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোকে ফের শক্তিশালী করছে। আর, ফুটপাথ, রাস্তা এবং সেতুর দেওয়াল কংক্রিট, বালি এবং কাচের টুকরো মিশিয়ে গর্ত ভরাট করেছে। মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, 'আমরা কংক্রিটের সঙ্গে কাচের টুকরো এবং বালির দানা মিশিয়েছি। ফ্লাইওভারের দেওয়াল এবং স্তম্ভগুলোয় ইঁদুরের তৈরি গর্ত ভরাট করেছি। আমরা আশা করছি, এই মিশ্রণ তাদের চলাচলে বাধা দেবে। যদিও এই পরিকল্পনা কাজ করছে কি না, আমাদের এখনও জানা নেই।' অতীন ঘোষ বলেছেন, 'কেএমসি রাস্তার পাশের খাবারের দোকান এবং রেস্তোরাঁর জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের বাইরে খাবার না-ফেলতে বলেছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করেছে।'
ইঁদুরের গল্প: মুম্বই থেকে নিউইয়র্ক
নিউইয়র্ক থেকে মুম্বই, প্রায় প্রতিটি বড় শহর ইঁদুরের উপদ্রবের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত নগরায়নে ইঁদুররা শহরের সেরা প্রশাসনকেও ছাড়িয়ে গেছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং সুড়ঙ্গের অন্ধকার গভীরতায় বসবাস করে তারা। তাদের পথে আসা যে কোনও কিছুর মধ্য দিয়ে যাতায়াত করছে। বিশেষ করে উপচে পড়া আবর্জনার স্তূপ পেলে তো কথাই নেই। এমনকী, ছাড়ছে না কংক্রিটকেও। মেয়র হাকিম জানিয়েছেন যে, 'কিছুদিন আগে' কেএমসি সাহায্যের জন্য বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) কাছে গিয়েছিল। তিনি বলেন, 'কিন্তু, তারা আমাদের কোনও সমাধান দেখাতে পারেনি।' যদিও বিএমসি কর্তৃপক্ষ, কলকাতা কর্পোরেশন তাদের কোনও চিঠি দিয়েছিল কি না, সেই ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। তারা শুধু বলেছে যে ইঁদুরের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। বিএমসির কীটনাশক বিভাগ মুম্বই শহরের ২৪টি ওয়ার্ডজুড়ে বর্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ইঁদুর মেরে ফেলে। বিএমসি-তে 'ইঁদুর শ্রমিক'ও আছে। যারা শহরে ইঁদুর শিকার করার জন্য শিফটে কাজ করে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত মুম্বইয়ে ২.৮১ লক্ষ ইঁদুর মারা হয়েছে।
তবে নিউইয়র্কের ইঁদুর সমস্যা বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ঢাকা ট্র্যাশ ক্যান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা থেকে শুরু করে ইঁদুর বর্জন অঞ্চল তৈরি করা, শহরের গুরুতর ইঁদুর সংকট মোকাবিলায় চলতি বছরের শুরুতে ক্যাথলিন কোরাডিকে 'ইঁদুর জার' হিসেবে নিয়োগ করা, এসবের মাধ্যমে নিউইয়র্ক যেন ইঁদুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি ইমেলে, নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিসের কমিউনিকেশনের চিফ অফ স্টাফ নোহ লেভিন বলেছেন, ইঁদুর রোধে শহরটি যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলি নিয়েছিল তার মধ্যে একটি হল কালো ট্র্যাশ ব্যাগগুলোকে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলা। যাতে ইঁদুর খাদ্য সংগ্রহে বাধা পায়। নিয়মটি বাধ্যতামূলক করেছে যে সমস্ত বাণিজ্যিক বর্জ্য, প্রতিদিন যার পরিমাণ প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড, অবশ্যই নিরাপদ, ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলতে হবে। লেভিন বলেন, 'গত ২০ মাসে শহরের এই চেষ্টার ফলে এবারের গ্রীষ্মে ইঁদুরের দেখা গত বছরের থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে।'
পায়ের আঙ্গুলে দাঁত বসানো থেকে ফুটপাথের প্লাস্টার খুলে ফেলা
কলকাতায় ফিরে ইঁদুর দেখা সহজ। এক সপ্তাহের বিকেলে, ঢাকুরিয়া ব্রিজের এক পিলারের কাছে ইঁদুরের একটি উপনিবেশ মাটি থেকে বেরিয়ে আসে, বালিগঞ্জের একটি পুরানো চার লেনের ফ্লাইওভার যার নীচে গড়িয়াহাট থেকে যাদবপুরকে সংযোগকারী একটি রেললাইন রয়েছে, সেখানে। ফ্লাইওভারের নীচে এবং রেললাইনের দু'পাশে বস্তি, খুপরি এবং খাবারের জায়গা রয়েছে, তাদের বর্জ্য ট্র্যাকের ওপর এবং অন্যত্র গিয়ে পড়ে। শিয়ালদহ-বজবজ রেললাইনের ট্র্যাকে বসে, ব্রীজের নীচে বস্তিতে বসবাসকারী ২৫ বছর বয়সি সনিয়া মণ্ডল বলেন, 'ইঁদুররা এই ব্রিজটিকে কেকের মতো খাচ্ছে। প্রতিদিন আমরা সেতুর অংশ ভেঙে পড়তে দেখি।'
দুই বছর আগে, ৪০ বছর বয়সি নেপাল পাল তাঁর চায়ের স্টল ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচের থেকে আন্ডারপাসের এককোণে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'ইঁদুর একটি বড় বিপদ। এখানে ফুটপাথের গর্ত দেখুন। এগুলো এতটাই বড় যে দুইজন নীচে পড়ে আহত হয়েছে। আমাকে আমার দোকানের প্লাস্টিকের পাত্রগুলোকে কাচে ইদুরের জ্বালায় কাচের পাত্রে বদলাতে হয়েছে।' প্রায় ৫ কিমি দূরে, এজেসি বোস ফ্লাইওভার এবং কাছেই নিজাম প্যালেসে, হাকিম যে এলাকাকে ইঁদুর-উপদ্রুত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তার মধ্যে একটি এলাকায় পিন্টু শ (২৮) নামে একজন হকার বলেছেন, 'এখানে কোনও কাজ করা অসম্ভব। ইঁদুর এসে আমাদের পায়ের আঙুলে ছিটকে পড়ে। পিডব্লিউডি এখানে এসে ফুটপাথ ঠিক করেছে। কিন্তু, একমাসের মধ্যেই গর্তগুলো ফের করেছে।' ফুটপাথ এবং ফ্লাইওভারের উন্মুক্ত প্লাস্টারের দিকে ইঙ্গিত করে শ এমনটাই জানিয়েছেন।
এই ব্যাপারে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম বসু বলেন, 'ভোজনরসিকরা অবশিষ্টাংশ ফেলে দেয় এবং খাবার থেকে তেল ও চর্বি ভূগর্ভস্থ ড্রেনের দেয়ালে লেগে থাকে। ইঁদুররা খায় আর ড্রেনে কংক্রিটের দেয়াল ভেদ করে, ড্রেনের ক্ষতি করে।' এসপ্ল্যানেড এলাকায় কেএমসি সদর দফতর এবং বিধানসভা ভবনেও জড়িয়ে আছে ইঁদুরের গল্প। কেএমসির এক আধিকারিক বলেন, 'কেএমসিতে ইঁদুর সর্বত্র রয়েছে, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সার্ভার রুম। সেখানকার তার ও মেশিন ইঁদুর চিবিয়ে খেয়েছে। তারা নিয়মিত কন্ট্রোল রুমের বৈদ্যুতিক তারেরও ক্ষতি করে আসছে।'
কেএমসির একজন সিনিয়র আইটি আধিকারিক জানিয়েছেন যে দুই মাস আগে কর্পোরেশনের সার্ভার রুমে একটি 'রোডেন্ট' মেশিন ইনস্টল করার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, 'মেশিনটি খুব উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ তরঙ্গ তৈরি করে, যা ইঁদুরকে দূরে রাখে।' বিধানসভা ভবনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি নিজের চোখে ইঁদুর দেখেছি। আমরা খুব চিন্তিত। আমরা ইঁদুর মারার জন্য বিষ ব্যবহার করতে চাই না। কারণ, অসহ্য দুর্গন্ধ বের হবে। এ বিষয়ে আমরা পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। দেখা যাক কী করা যায়।' এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, 'এখানে বিধানসভায় আমি অবশ্যই বলব ইঁদুরই একমাত্র প্রাণী, যারা নিরপেক্ষ। তারা ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দল উভয়কেই সমস্যায় ফেলেছে। বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে ইঁদুর খাবার খেয়েছে। স্পিকারের ঘরের কাগজপত্র নষ্ট করেছে।'
সমাধানের পথ?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে ইঁদুর সর্বত্র থাকলেও তাদের থেকে পাওয়া কঠিন। এমনকী, ইঁদুরের সংখ্যা গণনা করাও কঠিন। কলকাতার জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার স্তন্যপায়ী বিভাগের প্রধান মুকেশ ঠাকুর বলেন, 'এটা সত্য যে কলকাতা শহরে ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ে প্রায় কোনও তথ্য বা গবেষণা হয়নি। যদি কেএমসি আমাদের একটি অনুরোধ পাঠায়, আমরা সেটা দেখতে পারি।'
পশ্চিমবঙ্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'শহরে সবচেয়ে সাধারণ ইঁদুরের প্রজাতি হল Rattus norvegicus, সাধারণত বাদামি ইঁদুর। যার দেহের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬-৮ ইঞ্চি এবং ব্যান্ডিকোটা ইন্ডিকা, যা ভারতীয়। ব্যান্ডিকোটার দৈর্ঘ্যে ১ ফুট পর্যন্ত হতে পারে এবং প্রায় এক কেজি ওজনেরও হতে পারে।'
শীলাঞ্জন ভট্টাচার্য আরও বলেন, 'ইঁদুরের সংখ্যা কমানোর একমাত্র উপায় হল উদ্ভাবন করা এবং প্রাকৃতিক শিকারী যেমন পেঁচা, মনিটর টিকটিকি এবং বিড়ালের বংশবৃদ্ধি। আর, ইঁদুর যেখানে ঘোরাঘুরি করে, সেই জায়গায় ওই প্রাকৃতিক শিকারিদের ঘোরাফেরা করার অনুমতি দেওয়া। যদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে এটি একটি জরুরি এবং একেবারে প্রয়োজনীয়, তাহলে বন বিভাগ এবং প্রকৃতিবিদরা যেভাবে এই ধরনের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন, সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। অন্য কোনও যান্ত্রিক বা রাসায়নিক পদ্ধতি এখনও পর্যন্ত সফল হয়নি, বিশেষ করে আর্দ্র ভারতীয় শহরগুলোতে। কারণ, এখানে আবর্জনা প্রচুর।'
প্রখ্যাত পরিবেশবিদ এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাধব গাডগিলও ইঁদুর সমস্যার একটি অপ্রচলিত সমাধানের পথ শুনিয়েছেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, 'এটি অপ্রচলিত শোনাতে পারে, তবে সমাধান হল ইঁদুর ধরা, ক্ষতিকারক রোগজীবাণু যদি তাতে থাকে, তবে তা মেরে ফেলা। আর, ইঁদুরকে পোল্ট্রিতে উৎপাদিত পণ্যের মতই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা। অর্থাৎ, ইঁদুরকে খাদ্য শৃঙ্খলে নিয়ে আনা। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ইঁদুর খায়, প্রধানত মাঠের ইঁদুর।'