/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/Suvendu-Adhikari-Highcourt.jpg)
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিরাট ধাক্কা রাজ্যের। রাজ্যের আবেদনে সাড়াই দিল না উচ্চ আদালত। ''শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করাটা অতটা জরুরি নয়'', মামলার শুনানিতে সাফ বললেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। হাইকোর্টে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গেল শুভেন্দু মামলার শুনানি। বিরোধী দলনেতার আইনি রক্ষাকবচ বহালই রইল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বৃহস্পতিবারই কার্যত মুখ পুড়েছিল রাজ্য সরকারের। রাজ্যের আবেদন কানেই তোলেনি সর্বোচ্চ আদালত। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে তৎপরতা নেয় রাজ্য পুলিশ। তবে কলকাতা হাইকোর্ট এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি রক্ষাকবচ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।
আরও পড়ুন- লালন মৃত্যু মামলা: ‘FIR করে ঠিক করেছে পুলিশ’, CBI-কে চরম ভর্ৎসনা বিচারপতির
যদিও শীর্ষ আদালত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৎপরতা নিতে কলকাতা হাইকোর্টেরই দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয় রাজ্যকে। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করে রাজ্য। যদিও রাজ্যের সেই আবেদনে এদিন সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট। বিরোধী দলনেতার রক্ষাকবচ বহাল রইল।
আরও পড়ুন- অমিতাভের মন্তব্য ঢাল করে মমতাকে আক্রমণ, মালব্যকে ‘মোক্ষম’ জবাব নুসরতের
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করাটা অতটা জরুরি নয়।'' আপাতত ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গেল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্যের করা মামলার শুনানি। আগামী ৩ সপ্তাহ পর নির্দিষ্ট বেঞ্চে রাজ্যকে আবেদনের নির্দেশ আদালতের। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না, হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল রাজ্য।
যদিও রক্ষাকবচ বহাল থাকলেও শুভেন্দুকে চাইলে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পারে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ''রক্ষাকবচে কোথাও বলা নেই যে গ্রেফতার করা যাবে না। গ্রেফতারি এড়ানোর রক্ষাকবচ নেই শুভেন্দুর। পুলিশ মনে করলে শুভেন্দুকে আসানসোল মামলায় গ্রেফতার করতেই পারে। পুলিশ চাইলে গ্রেফতার করতে পারে। শুভেন্দুকে কোনও মামলায় সাক্ষী হিবেসে ডাকা যেতে পারে। তিনি সহযোগিতা না করলে তাকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। পুলিশ মনে করলে তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরাও করতে পারে। জেরায় কেউ কারও নাম বললে গ্রেফতার করা যায়।''