Kolkata High Court CBI investigation order RG Kar: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্তের নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এর আগে এই তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী কমিটি সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশ আর সিটের কোনও গুরুত্ব রইল না।
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ তিনি একবছর আগেই সরকারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও অভিযু্ক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তুলেছিলেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একবছর আগে কেন সিট গঠন করা হয়নি? আর, তারপরই তিনি সিবিআইকে আরজি কর হাসপাতালের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর ফলে সমস্যা বাড়ল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। তাঁর বিরুদ্ধে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন আখতার আলি। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাঁদের পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও আখতার আলি তুলেছেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করেছিল, সেই সিটে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তাও ছিলেন। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ঘটনা বড় না হলে কেন এত বড়মাপের পুলিশকর্তাদের ১৬ আগস্ট গঠন করা সিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে কেন? এরপরই আদালত আরজি কর দুর্নীতির যাবতীয় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন- নিরাপত্তার চাদরে মুড়ল আরজি কর, CISF দায়িত্ব নিতেই বদলে গেল চিত্র
এর ফলে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট তার গুরুত্ব হারাল। সিবিআইয়ের এই তদন্তের যাবতীয় বিষয়গুলো চলবে আদালতের নজরদারিতে। আদালত তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সিবিআইকে আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়ায় আখতার আলি বলেছেন, 'আমি সন্তুষ্ট। আমি পুলিশের কাছে যাবতীয় অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু, অভিযোগের সুরাহা হওয়া দূর, আমাকেই অন্য হাসপাতালে (বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ) বদলি করে দেওয়া হয়েছে।'