রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কাউন্সেলিংয়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সরাফ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। এই স্থগিতাদেশ আগামী এক বছরের জন্য।
২০১৫ সাল পর্যন্ত সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করার জন্য স্নাতকোত্তর স্তরে ন্যূনতম নম্বর দরকার হত ৪০ শতাংশ। ২০১৬ সালে ন্যূনতম নম্বর বাড়ানো হয় ৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে এই স্থির হয়, প্রধান শিক্ষক পদপ্রার্থীদের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে স্নাতকোত্তর স্তরে।
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয় আদালতে। সে মামলায় আদালত জানিয়ে দেয়, প্রধান শিক্ষক পদপ্রার্থীরা সকলেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু সে পরীক্ষার ফল যখন বেরোয়, তখন দেখা যায়, যাঁরা মামলা করেছিলেন, তাঁদের বাদ রেখেই ফল প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফের মামলা হয় আদালতে। সে মামলাতেই মঙ্গলবার বিচারপতি সরাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী এক মাস কাউন্সেলিং বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে রাজ্যের শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষাবন্ধুদের বেতনবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ৪০ শতাংশ করে বেতন বাড়ানো হবে। এতদিন ধরে শিক্ষাবন্ধু ও শিক্ষাকর্মীরা মাসে ৬ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। তাঁরা এবার থেকে পাবেন ৮৪০০ টাকা করে বেতন পাবেন। এঁদের দাবি ছিল ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে বেতন দিতে হবে।
গতকাল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এই বেতন বৃদ্ধির কথা জানান। এ নিয়ে নোটিফিকেশনও জারি হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে এই বর্ধিত বেতনক্রম কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে।