Advertisment

ওমিক্রন আতঙ্কে চূড়ান্ত প্রস্তুতি বঙ্গে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ

ওমিক্রন মোকাবিলায় হাসপাতালগুলিকে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখার কথাও বলা হয়েছে বৈঠকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
COVID-19, Centre asks states to act fast, less than 20% funds spent to ramp up beds, ICUs

করোনা হলে কি বেড পাবেন? দেখে নিন রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি

ওমিক্রন আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। ওমিক্রন নিয়ে কোথাও কোন খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সময় কালে চিকিৎসা ব্যবস্থার যে বে আব্রু ছবি ধরা পড়েছে তার যাতে কোন ভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বেসরকারী হাসপাতালগুলিকে ওমিক্রন মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলা হয়েছে।

Advertisment

এনিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সোমবার, কলকাতার সাতটি বেসরকারি হাসপাতালকে তাদের পরিকাঠামো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে এএমআরআই হাসপাতাল, অ্যাপোলো হাসপাতাল, বেলে ভিউ ক্লিনিক, উডল্যান্ডস, কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, চার্নক হাসপাতাল এবং ফর্টিস হাসপাতাল। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশাল এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে অজয় কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে হাসপাতালগুলির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওমিক্রন মোকাবিলায় হাসপাতালগুলিকে সবরকম ভাবে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় ১৭ টি রাজ্যে ওমিক্রন হানা দিয়েছে। বাদ যায়নি বাংলাও। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫। তাদের মধ্যে প্রায় সকলেরই বিদেশ ভ্রমণের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র মারফত খবরে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি এবং বিজি হাসপাতালকে ওমিক্রন আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজনদের ক্ষেত্রে নোডাল হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সে ৫ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের শহরের পাঁচ জায়গায় রেখে চিকিৎসা চলছে।

এদিনের বৈঠক থেকে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়েছে ভিনদেশ থেকে আগত ওমিক্রন আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজনদের সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে রেখে চিকিৎসা করা হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশনে রাখা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ প্রমাণিত হচ্ছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের জারী করা নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি RT-PCR রিপোর্ট নেগেটিভ না পাওয়া পর্যন্ত তাকে আলাদাভাবে রেখে চিকিৎসা করতে হবে।

এমনকি রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের পরবর্তী সাত দিন বাধ্যতামূলক হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জারি করা একটি বুলেটিন অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৯। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭,৪৩৩। একদিনে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Bengal Corona Omicron
Advertisment