বাংলার সংবাদজগতে ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ। অকালেই ধরে গেল তরুণ সাংবাদিকের প্রাণ। দুরারোগ্য ক্যানসার কেড়ে নিল সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের প্রাণ। মঙ্গলবার সকালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের এই সাংবাদিক। স্বর্ণেন্দুর মৃত্যুতে টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঃসংবাদে ভেঙে পড়েছেন মমতা।
পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী এবং তিন বছরের মেয়ে। তাঁদের রেখেই পরপারে চলে গেলেন তরুণ তুর্কি সাংবাদিক। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকাতুর বাংলার সংবাদজগৎ। ২০১৪ সালে দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হন স্বর্ণেন্দু। তার পর থেকেই চিকিৎসা চলছি। হুগলির সিঙ্গুরের গ্রামের বাসিন্দা এই সাংবাদিকের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবার। নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে কলকাতায় সংবাদমাধ্যমে দাপিয়ে কাজ করছিলেন।
২০২১ সালে ওই বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে যোগ দেন স্বর্ণেন্দু। গত বছর নভেম্বর মাস থেকে শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে স্বর্ণেন্দুর। মুম্বইয়ে টাটা ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছিল তখন। কিন্তু বিপুল চিকিৎসার খরচ জোগাতে অপারগ হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি স্বর্ণেন্দুর চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেওয়ার কথা জানান। এর পর কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয় স্বর্ণেন্দুর।
আরও পড়ুন ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ হাজার হল পুজোর অনুদান, মমতার ঘোষণায় উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি
সম্প্রতি অবস্থার আরও অবনতি হয় তাঁর। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সেখানেই আজ, মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বর্ণেন্দু। সহকর্মীর মৃত্যুতে শোকে পাথর সাংবাদিক মহল। মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, "অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর। স্বর্ণেন্দু দাস, কলকাতার একজন তরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে আহত। সংবাদ দুনিয়া একজন অত্যন্ত দক্ষ প্রতিভা হারাল। তাঁর পরিবার, প্রিয়জন এবং সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা।"