শহরে ফের মদ্যপ চালকের উৎপাত, শিক্ষিকার 'শ্লীলতাহানি'

রবিবার ভোর রাতের পর সোমবার, আবারও মদ্যপ অবস্থায় স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলেন চালক। যার ফলস্বরূপ আবারও দুর্ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতার রাজপথ।

রবিবার ভোর রাতের পর সোমবার, আবারও মদ্যপ অবস্থায় স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলেন চালক। যার ফলস্বরূপ আবারও দুর্ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতার রাজপথ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' কর্মসূচিকে যে এ শহরের অনেক বাসিন্দাই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন এক নাগরিক। রবিবার ভোর রাতের পর সোমবার, আবারও মদ্যপ অবস্থায় স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলেন চালক। যার ফলস্বরূপ আবারও দুর্ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতার রাজপথ। তবে এবার শুধু দুর্ঘটনা নয়, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে অপর একটি গাড়িকে ধাক্কাই মারেননি জনৈক চালক, এক মহিলার শ্লীলতাহানি করারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Advertisment

ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রামকৃষ্ণ চন্দ নামে এক ব্যাক্তি গড়ফা মেন রোড ধরে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। সেসময়ই সাপুই পাড়া ক্রসিংয়ের কাছে অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। দুর্ঘটনার পরই গাড়ি থেকে নামেন অপর গাড়ির আরোহী, যিনি কলকাতার একটি নামী স্কুলের শিক্ষিকা। গাড়ি থেকে নেমে ঘাতক গাড়িটির ছবি তুলতে যান। ছবি তোলায় নিজের গাড়ি থেকে নামেন রামকৃষ্ণ, এবং ওই শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। তিনি মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন, গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক, আটক ফ্যাশন ডিজাইনার

এ ঘটনায় গতকাল মাঝরাতে অভিযুক্ত গাড়ি চালক রামকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালনা), ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন), ৪২৭ (অন্যের ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করা), ও ১১৪ (অপরাধমূলক প্ররোচনা) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে খবর। অভিযুক্তের গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Advertisment

উল্লেখ্য, রবিবার ভোররাতে ইএম বাইপাসে প্রগতি ময়দান এলাকায় অদিতি আগরওয়াল নামে এক ফ্যাশন ডিজাইনার ও পোশাক বিক্রেতার গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। অদিতিও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অদিতিকে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

kolkata police