সময় এগোলেও কন্যা সন্তান নিয়ে এ সমাজের মুখ বেজার করার ছবি বদলাচ্ছে না। কন্যা সন্তান হওয়ায় তাকে বিক্রির মতো জঘন্যতম ঘটনা আবারও সামনে এল। এ রাজ্যেই কন্যা সন্তান বিক্রির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যমজ কন্যা সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে জন্মদাতারই বিরুদ্ধে। যে অভিযোগে গত রবিবার রতন ব্রহ্ম নামে বছর আটত্রিশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বারাসত পুলিশ। একমাসের যমজ কন্যাসন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকার বাসিন্দা রতন। পেশায় তিনি পোশাক বিক্রেতা। এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে রতন এক চাল ব্যবসায়ীকে তাঁর যমজ কন্যাসন্তানের একজনকে বিক্রি করেন। অন্যদিকে, ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত শুক্রবার এক নিঃসন্তান দম্পতিকে আরেক কন্যাসন্তান রতন বিক্রি করেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, যমজ কন্যাসন্তানের আগে আরও এক কন্যাসন্তান রয়েছে রতনের।
আরও পড়ুন, পুলিশে চাকরির নামে প্রতারণায় অভিযুক্ত পুলিশ!
এ ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "জেরায় রতন জানিয়েছেন যে, তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে পারতেন না তিনি। সে কারণেই তিনি সন্তানদের বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।" সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রি হওয়া দুই যমজ সন্তানকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঠাকুরনগরে ওই চাল ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এক কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, রামচন্দ্রপুর গ্রামে ওই নিঃসন্তান দম্পতির বাড়ি থেকে আরেক কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপাতত দুটি শিশুকেই চাঁদপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। পরে তাদের শিশু সুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সন্তান বিক্রির অভিযোগে রতনকে শিশু সুরক্ষা আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যাঁদের ওই কন্যা সন্তান বিক্রি করা হয়েছিল, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English