Advertisment

রোগীদের সুবিধার্থে অভিনব উদ্যোগ মেডিক্যালের পড়ুয়াদের

গেট থেকে আউটডোরের বিল্ডিং অবধি আঁকা থাকবে সবুজ রঙের লাইন। অনুরূপ ভাবে সেন্ট্রাল প্যাথ ল্যাবের জন্য লাল লাইন, বা হলুদ লাইন এমার্জেন্সি থেকে রাত্রী আবাসে যাওয়ার জন্য। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বর্তমান প্রজন্ম স্বার্থপর নয়, আবারও প্রমান দিলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনদের কথা ভেবে এক নয়া উদ্যোগ নিলেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্রছাত্রীরা। শুরু থেকেই, "ভাই এই রক্তের পরীক্ষাটা কোথায় হয়?", "বুকের ছবিটা কোনদিকে করাব বলতে পারবেন?" এমন হাজারটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় হবু ডাক্তারদের। এই সমস্যার সমাধান করতে চেয়ে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরকে বিভিন্ন রঙে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। তাঁদের কথায়, এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে থেকেও বিভিন্ন বিভাগ খুঁজে বের করা সহজ হবে দূর থেকে আসা রোগী এবং তাঁর পরিবারের পক্ষে।

Advertisment

publive-image কাজে ব্যস্ত পড়ুয়ারা

আরও পড়ুন: মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ডের সময় রোগী মৃত্যু ঘিরে চাপানউতোর

বিষয়টা খানিকটা এরকম হবে। হোর্ডিং-এ থাকবে বিভিন্ন নির্দেশ, যেমন, আউটডোর বিল্ডিং যাওয়ার জন্য সবুজ লাইন অনুসরণ করুন, আর গেট থেকে আউটডোরের বিল্ডিং অবধি আঁকা থাকবে সবুজ রঙের লাইন। অনুরূপ ভাবে সেন্ট্রাল প্যাথ ল্যাবের জন্য লাল লাইন, বা হলুদ লাইন এমার্জেন্সি থেকে রাত্রী আবাসে যাওয়ার জন্য। সাদা রঙ যাচ্ছে এমারজেন্সির দিকে। এমনভাবে রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় জায়গাগুলি আলাদা আলাদা রঙের লাইন ব্যবহার করে নির্দেশ করে দেওয়া হবে।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সব গেটে হোর্ডিং থাকবে। কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই, এক নম্বর গেট থেকে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই সমস্ত কাজটা শেষ করে ফেলার কথা ভাবছেন হবু চিকিৎসকরা। পাশাপাশি আগামী দুদিন এই নিয়ে প্রচারও চালাবেন তাঁরা।

publive-image কোন রঙ কিসের জন্য তা বোঝাতে থাকবে এমন হোর্ডিং

প্রসঙ্গত, দিল্লির এইমস এবং নিমহ্যান্স থেকেই এই ভাবনা আসে। "পেশেন্ট ইজ আওয়ার গড", "সার্ভিস উইথ আ স্মাইল" এসব পোস্টার লাগানোর চেয়ে পেশেন্টদের আসল সমস্যা জেনে সমাধানের চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাছ বলে মনে করছেন হবু ডাক্তাররা। এক পড়ুয়া প্রীতির কথায়, ''রোগীর রোগটুকু ডায়াগনোস করে ওষুধ প্রেসক্রাইব করার বাইরেও আমাদের কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। তাই রোগীর সমস্যার সাময়িক সমাধানের জন্য আমরা হাসপাতালের ভিতরে কালার কোডিং-এর সিস্টেমের কথা ভেবেছি।''

তবে এ তো গেল প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ, এই কালার কোডিং-এর কাজের পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ হবে কীভাবে, রঙ উঠে গেলেই বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ প্রশ্নের উত্তরের মেডিক্যালের এক ছাত্রী প্রীতি গোস্বামী জানান, "আমরা প্রাথমিক কাজটুকু করেছি, আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল একটা মডেল তৈরি করে দেওয়া, বাকি দায়িত্বটা কর্তৃপক্ষেরই নেওয়ার কথা। আসলে প্রতিবার ১০ টাকা ২০ টাকা চাঁদা তুলে টাকা জোগাড় করে কাজটা করা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়, কর্তৃক্ষেরও সহায়তা প্রয়োজন।" প্রীতি আরও বলেন, এই উদ্যোগটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা চিঠি জমা দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন উদ্যোগে সুবিধাই হবে রোগী এবং তাঁদের পরিবারদের। পাশাপাশি ছাত্রদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষও।

publive-image বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে কাজ

calcutta medical college
Advertisment