Kolkata Metro Rail: কলকাতা মেট্রোরেলের পলকে সম্প্রতি জুড়েছে নয়া পালক। নতুন বেশ কয়েকটি রুট চালু হয়ে গিয়েছে। শহর কলকাতার সঙ্গে শহরতলির কানকেশন এখন আরও Smooth! তবে এখনও একাংশের মেট্রোযাত্রীদের মনোভাব বদলায়নি। ঝাঁ চকচকে নয়া মেট্রো স্টেশন পান-গুটখার পিক ফেলে 'বরবাদ' করছেন তাঁরাই। তাই এবার স্টেশন চত্বর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নতুন আবেদন কলকাতা মেট্রোরেল (Kolkata Metro Rail) কর্তৃপক্ষের।
মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র যাত্রীদের প্রতি আবেদন করে জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রো, ভারতের প্রথম মেট্রো দেশের জন্য গর্বের। এসপ্ল্যানেড থেকে শুরু করে ভবানীপুর (বর্তমানে নেতাজি ভবন), এই মেট্রো নেটওয়ার্ক ক্রমাগত আপগ্রেড এবং প্রসারিত হচ্ছে। সবাইকে গর্বিত করে হুগলি নদীর তলদেশ দিয়েও মেট্রো চলতে শুরু করেছে। দেশে প্রথমবারের মতো, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে কোনও নদীর তলদেশে মেট্রো চলছে। এই ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়ের সঙ্গে একটি নতুন উচ্চতা অর্জন করেছে কলকাতা মেট্রো।
কলকাতা মেট্রো সবার গর্ব এবং তাই এর ভাবমূর্তি উন্নত করতে এবং ঐতিহ্য রক্ষা করতে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সম্প্রতি, দেখা গেছে যে নিত্যযাত্রীদের একটি অংশ সুপারি, গুটখার পিক ফেলে এবং নতুন করিডোরে প্লাস্টিক ছুঁড়ে কলকাতা মেট্রোকে অপরিচ্ছন্ন করে তুলছেন।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্টেশন চত্বর পরিষ্কার এবং পরিপাটি রাখার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে এটা মনে হয় যে "আমার কলকাতা মেট্রো: আমার গর্ব" (Amar Kolkata Metro: Amar Gorbo)। মেট্রো স্টেশন চত্বরে এই ধরনের অবাঞ্ছিত অভ্যাস মেট্রোযাত্রীদেরই সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমেই বন্ধ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন- Sheikh Shahjahan: হাড়মাস কালি হওয়ার জোগাড় শাহজাহানের! আজ হাতে পেলেই ‘জামাই আদরে’ রেডি ED!
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো (ব্লু লাইন), দেশের প্রাচীনতম মেট্রো নেটওয়ার্ক। পরিচ্ছন্নতার একটি প্রতীক এই রুট। মেট্রোযাত্রীদের সক্রিয় সহযোগিতায় ব্লু লাইন প্রাঙ্গণকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যেতে পারে। তারা মনে করেন এটি তাঁদেরই মেট্রো। এখন যেহেতু নতুন করিডরগুলি খোলা হচ্ছে, কলকাতা মেট্রোর উত্তরাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য এই করিডোরেও মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই ধরনের সহযোগিতা বাড়ানো দরকার। কলকাতা মেট্রোর প্রতিটি যাত্রীকে মেট্রো প্রাঙ্গণ অপরিচ্ছন্ন করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।