পুজোয় রেকর্ড ভিড় মেট্রোয়। শহর হোক বা শহরতলি, ঠাকুর দেখায় মেট্রোই 'বেস্ট চয়েস'। অন্তত চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত মেট্রোর আয়ের বহর দেখলে সেটাই বোঝা যাচ্ছে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী, পরপর তিনদিন কলকাতা মেট্রো কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে। চতুর্থী থেকেই মাছি গলার জায়গা নেই কলকাতা মেট্রোর রেকগুলিতে।
করোনা অতীত। অতিমারীর কাল কাটিয়ে এবারই প্রথম দুগ্গাপুজো। শারদোৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা আট থেকে আশি। এবার পুজোয় যাত্রীদের চাপ যে বিপুল থাকবে তা আগেভাগেই আঁচ করেছিল কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে পঞ্চমী থেকেই স্টেশনগুলিতে খোলা হয়েছিল বাড়তি টিকিট কাউন্টার। পুজোর ক'দিন রাতভর পরিষেবা দিচ্ছে মেট্রো রেল। মেট্রোয় চেপে শহর থেকে শহরতলির পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন কাতারে-কাতারে মানুষ।
আরও পড়ুন- ‘আন্দোলন চলতেই থাকবে, পুজো বাড়িতে কাটান’, চাকরিপ্রার্থীদের পরামর্শ দিলীপের
মেট্রোরেলের তরফে জানানো হয়েছে, ষষ্ঠীতে সাড়ে ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ মেট্রোয় চেপেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ১ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীতে মেট্রো রেলের মোট যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৯০ জন। ষষ্ঠীতে মোট ২৮৮টি ট্রেন চালিয়েছে কলকাতা মেট্রোরেল। ষষ্ঠীতে টোকেন, স্মার্ট কার্ড বিক্রি এবং স্মার্ট কার্ড রিচার্জে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মোট আয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৩০ টাকা।
ষষ্ঠীতে দমদম স্টেশন থেকে সর্বাধিক যাত্রী মেট্রোয় চেপেছিলেন। দমদমে ১ অক্টোবর ৮৭ হাজার ৩৬৪ জন যাত্রী মেট্রোয় চেপেছেন। একইভাবে কালীঘাট স্টেশন থেকে ৬০ হাজার ৯৮৮ জন, এসপ্ল্যানেড থেকে ৪৫ হাজার ৩০১ জন এবং রবীন্দ্র সদন থেকে ৩৭ হাজার ১৪ জন যাত্রী ষষ্ঠীতে মেট্রোয় চেপেছেন। অন্যদিকে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ষষ্ঠীতে ৩৬ হাজার ২৭৫ জন যাত্রী মেট্রোয় চেপেছেন।