Advertisment

Kolkata Air Quality: দেশ তাকিয়ে দিল্লির দিকে, কিন্তু দূষণ শিরোমণি আসলে কলকাতা

Kolkata most polluted city in India: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মনিটরিং স্টেশনে বৃহস্পতিবার বস্তুকণার (পিএম ২.৫) মাত্রা ছিল ৩৮১ (যাকে very poor-এর পর্যায় পড়ে)।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বন্ধ আরেক জুট মিল। প্রতীকী ছবি

Kolkata polluted city: বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বজোড়া 'খ্যাতি' যেখানে দিল্লির, সারা দেশের নজর রাজধানীর বাতাসে ভাসমান বস্তুকণার মাত্রা কত, সেখানে দূষণ শিরোমনির মুকুট নিয়ে বেরিয়ে গেল কলকাতা। গত ৭২ ঘন্টায় কলকাতার বাতাসে বস্তুকণার মাত্রা দিল্লিকে ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে। কাজেই কলকাতা আপাতত দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর।

Advertisment

ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মনিটরিং স্টেশনে বৃহস্পতিবার বস্তুকণার (পিএম ২.৫) মাত্রা ছিল ৩৮১ (যাকে very poor-এর পর্যায় পড়ে)। তুলনায় দিল্লির অশোক বিহারে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ২৯২.২৫। উল্লেখ্য, অশোক বিহার রাজধানীর সবচেয়ে দূষিত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম বলে ধরা হয়। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় AQI ছিল ৩১০.৭৫।

AQI-এর মাত্রা ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তা 'poor' বা খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, এবং ৩১০ থেকে ৪০০-র মধ্যে থাকলে 'very poor'। AQI-এর মাত্রা ৪০০ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে তা হয়ে যায় 'severe' বা দুঃসহ।

শুক্রবার রবীন্দ্র ভারতীর কাছে AQI মাত্রা ছিল ৩৫৯.৭৫, যেখানে অশোক বিহারে তা ছিল অপরিবর্তিত, অর্থাৎ ২৯২.২৫। ভিক্টোরিয়ার আশেপাশে AQI ছিল ২৮৮। শনিবার রবীন্দ্র ভারতীর AQI গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩০.২৫, ওদিকে অশোক বিহারে AQI-এর মাত্রা হয়ে যায় ২৯৩। ভিক্টোরিয়ায় এদিন AQI ছিল ২৪২.৫।

রবিবার সম্ভবত রাস্তায় যান চলাচল অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার ফলেই কলকাতার বাতাসে সামান্য উন্নতি দেখা দেয়, যখন রবীন্দ্র ভারতীতে AQI-এর মাত্রা নেমে হয়ে যায় ৩৫৫, এবং ভিক্টোরিয়ায় ২৪৬। পাশাপাশি অশোক বিহারের AQI এক লাফে উঠে হয়ে যায় ৩৬৯।

কিন্তু একটি বিষয়ে দিল্লি এবং কলকাতায় খুব মিল। দুই শহরেই পি এম ২.৫ হলো সর্বাধিক লক্ষণীয় দূষণকারী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রে যখন ডিজেলের সঙ্গে জৈব-জ্বালানী মিশিয়ে বাতাসে ভাসমান বস্তুকণার মাত্রা কমানোর প্রচেষ্টা চলছে, তখন কলকাতা এ ব্যাপারে একরকম উদাসীন বললেই চলে।

এবছর দেওয়ালির পরদিন, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর, কলকাতার বহু জায়গায় এয়ার কোয়ালিটি বা পরিবেশের মান 'খুব খারাপ' পর্যায়ে নেমে যায়। এর প্রধান কারণ, নাগরিকদের সুপ্রিম কোর্টের দু'ঘণ্টার জন্য বাজি পোড়ানোর নির্দেশ অমান্য। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তর বক্তব্য, গণ সচেতনতা না বাড়ালে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিবেশ দূষণ যে কতটা বিপজ্জনক, সে ধারণা তৈরি হবে না।

Pollution kolkata news
Advertisment