নদিয়ায় বিষমদকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। এদিকে বিষমদকাণ্ডের জেরে শান্তিপুর থানার ওসি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে ক্লোজ করা হয়েছে। শান্তিপুর থানার নতুন ওসি পদে দায়িত্ব সামলাবেন মুকুন্দ চক্রবর্তী। এদিন এ ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানান,‘‘বিষমদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ জন।’’ এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই গতকাল ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। অন্যদিকে, বিষমদকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
গত মঙ্গলবার রাতে নদিয়ার নৃসিংহপুর গ্রামে বিষমদ খেয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। এ ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ১১ জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৃসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশু মাহাত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন যে, তাঁর বড় ভাই বুটো ও আরও অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তাঁরা মঙ্গলবার রাতে চন্দন মাহাতর বাড়িতে বিষমদ পান করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশু। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মামলা রুজু করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, ন’কোটি টাকার তক্ষকের সূত্র ধরে মিলল বাংলাদেশ, মায়ানমারের যোগ
এ ঘটনায় সিআইডি তদন্তভারের কথা গতকাল বিধানসভায় ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। কোথায় এই মদ তৈরি করা হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই মদ বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে, বিষমদ খেয়ে অসুস্থ ২১জনকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি ২৬ জন কালনা এস ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২ বছর ধরে গ্রামে দেশি মদ বিক্রির হার ক্রমশ বাড়ছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।