নারকেলডাঙা থানা ঘেরাও বিজেপির। থানার বাইরে প্রবল বিক্ষোভ বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মী-সমর্থকদের। ইতিমধ্যেই প্রোমোটিং বিবাদের জেরে তাণ্ডব, অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনায় পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির।
অভিযোগ, নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাসকে প্রোমোটিংয়ের বিষয়ে কথা বলতে ডেকে পাঠান বিধায়ক পরেশ পাল ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার। তাঁরা যেতে না চাইলে বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ও শাসকদলের কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ কয়েকশো যুবক শিবশঙ্কর দাসের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। বাধা দিতে গেলে শিবশঙ্কর দাসের ছেলে দীপক দাসকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রাণ বাঁচিয়ে কোনওমতে দৌড়ে থানায় গিয়ে নালিশ জানালেও প্রথমে লাভ হয়নি বলে দাবি।
আরও পড়ুন- নারকেলডাঙায় প্রোমোটিং-বিবাদে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, কাঠগড়ায় TMC বিধায়ক পরেশ পাল
এদিকে, বাড়িতে হামলার সময় অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর, লুঠপাটেরও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শুরু থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। রাতেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত তরুণীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের হলে তারও ভিত্তিতে তদন্তের কাজ এগোতে পারে। এদিকে, দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে এদিন নারকেলডাঙা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।