Advertisment

মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় পুলিশকে ‘পেটালো’ পুলিশই

পুলিশ আবাসনে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অজয় কুমারের রক্ষী সুখসাগর সিং (৫৩) কে মারধরের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kolkata police, কলকাতা পুলিশ

মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় পুলিশকর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীই। প্রতীকী ছবি।

পুজোর ক’টা দিন শহর কলকাতাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সাধুবাদ জানিয়ে শুভ বিজয়া সারতে বিশেষ ফেসবুক পোস্ট করেছিল খোদ কলকাতা পুলিশ। যে পোস্টে সাদা উর্দিধারীদের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছিল। আর সে রাতেই যেন ছন্দপতন ঘটল কলকাতা পুলিশের। টালিগঞ্জ পুলিশ আবাসনে পুলিশের গায়েই ‘হাত’ উঠল আরেক পুলিশকর্মীর, যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

Advertisment

পুলিশ আবাসনে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অজয় কুমারের রক্ষী সুখসাগর সিং (৫৩) কে মারধরের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত দমকলের এক কনস্টেবল ও আরেক হোমগার্ড। শুধু মারধরই নয়, মদ্যপান নিয়ে সরব হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণ করারও হুমকি মিলেছে খোদ পুলিশকর্মীর মুখ থেকে, এমনই অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের। এ ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অনীশ হাঁসদা নামে কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট, দমকলের এক কনস্টেবল বুবাই সামন্ত, কলকাতা পুলিশের হোমগার্ড শিবকুমার সিং ও সিদ্ধার্থ পাল নামে এক বহিরাগতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই বুবাই সামন্ত ও শিবকুমার সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত অনীশ হাঁসদা ও সিদ্ধার্থ পালকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

kolkata police, কলকাতা পুলিশ দায়ের করা অভিযোগপত্র। ছবি সৌজন্য: হৃষিকেশ সিং

এ ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত সুখসাগর সিংয়ের ছেলে হৃষিকেশ সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "প্রতি বছরই ওই কম্পাউন্ডে মদের আসর বসে। আবাসনের পিছন দিকে মদ খান করেন অনেকে। এবার কম্পাউন্ডের মধ্যেই মদ খাচ্ছিলেন ওঁরা। যেহেতু এখানে পরিবার নিয়ে থাকি সবাই, তাই বাবা আপত্তি তুলে সেক্রেটারিকে জানিয়েছিলেন। একথা জানতেই গতকাল রাতে বাবার উপর চড়াও হন ওঁরা।"

আরও পড়ুন: রাতের শহরে পুলিশি অভব্যতার শিকার যুবক!

এরপর হৃষিকেশ আরও বলেন, "বাবার কলার ধরে ফেলে মারধর করা হয়। বাবাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন ওঁরা। কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট অনীশ হাঁসদা ও এক বহিরাগত সিদ্ধার্থ পালই মূল কালপ্রিট। ওঁরা এও হুমকি দেন যে, এখানে চুপচাপ না থাকলে বাড়ির মেয়েদের ধর্ষণ করা হবে। এখানে থাকলে চুপচাপ থাকতে হবে।" বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হৃষিকেশ।

এ ব্যাপারে অবশ্য কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও। যাদবপুর থানার এক আধিকারিককে জিজ্ঞেস করা হলে উনি এটুকুই বলেন, "এ ব্যাপারে আমার সিনিয়ররা বলবেন, আমি কিছু বলব না।"

kolkata police kolkata news
Advertisment