/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/Student-death-in-Visakhpatnam.jpg)
নিহত রীতি সাহা (ডানদিকে)।
যাদবপুর-কাণ্ডে যখন রাজ্যজুড়ে হইচই, তখন অন্ধ্রপ্রদেশে বাঙালি ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে খুনের মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। মৃত রীতি সাহা (১৭) টালিগঞ্জের বাসিন্দা। ডাক্তারির প্রস্তুতি নিতে ভর্তি হয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের (ভাইজাগ) এক কোচিং সেন্টারে। গত ১৪ জুলাই সেখানেই তাঁর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। তাঁরা ন্যায্য বিচার চেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত হস্টেল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ঘটনাটি জানতে পেরে সমবেদনা জানাতে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে রবিবারই টেলিফোনে মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। সরেজমিনে ঘটনার তদন্ত করতে কলকাতা পুলিশের একটি দল ভাইজাগে যাবে বলেই খবর।
রবিবারই এই ব্যাপারে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, 'নেতাজিনগর থানায় ওই ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করবে। মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন। প্রয়োজন হলে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে।' নিহত রীতির বাবা শুকদেব সাহা সাংবাদিকদের বলেন, 'মন্ত্রীর পরামর্শ মেনে আমরা কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। কলকাতায় মেয়ের শেষকৃত্য করার পর আমরা অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আদালত থেকে ঘটনার সময় হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করব।' সাংবাদিকদের একাংশের অবশ্য দাবি, এক রাজ্যের পুলিশ অন্য রাজ্যের ঘটনার তদন্ত করতে পারে না!
আরও পড়ুন- যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু হত্যা না-আত্মহত্যা, কী জানাল ‘ডামি ডল’-এর পরীক্ষা?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতি বিশাখাপত্তনমের কোচিং সেন্টার থেকে একইসঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এবং ডাক্তারিতে ভর্তির সর্বভারতীয় পরীক্ষা নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ১৪ জুলাই রাতে হস্টেল সুপার ফোনে রীতির বাড়িতে জানান, চার তলা থেকে পড়ে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অবশ্য অভিযোগ, মৃত্যুর আগেও রীতির ঠিকমতো চিকিৎসা করানো হয়নি। এক হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।