Footpath encroachment initiative: নিউটাউনে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ঘিরে ধুন্ধুমার। দোকান ভাঙতে পুলিশকে বাধা দেন দোকান মালিকরা। পুলিশের সঙ্গে দোকানদারদের এই নিয়ে দফায় দফায় হয় বচসা। কোল ভবনের সামনে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে রাস্তায় জড়ো হন হকারদের একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিধাননগর পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ডিসি নিউটাউন মানব সিংলা এবং নিউটাউন থানার আইসি কল্লোল ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অস্থায়ী দোকান। পাশাপাশি NKDA এর পক্ষ থেকে চলে মাইকিং।
ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকান হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসলো বিধান নগর পুলিশ। বুধবার দুপুরে নিউটাউন কোল ভবন সংলগ্ন ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকানগুলোকে ভেঙে ফেলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে সল্টলেক থেকে কলকাতা সর্বত্রই হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামে পুলিশ। সেক্টর ফাইভ, কলেজ মোড়ে ফুটপাথ জুড়ে বসে থাকা হকারদের সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে, গড়িয়াহাট, যদুবাবুর বাজার, ধর্মতলা, এসএসকেএম হাসপাতালের কাছে হকারদের সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে কলকাতা পুলিশ। বাদ যায়নি নিউমার্কেট চত্ত্বরও ।
তবে শুধু কলকাতা নয়। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামে। চিড়িয়াখানার আশেপাশে প্রায় ১৫০ দোকান রয়েছে। বুধবার সকালে সেখানেও চলে উচ্ছেদ অভিযান।
আরও পড়ুন : < Footpath Eviction Drive: ‘ছাড় বহিরাগতদের, পেটে লাথি বাংলার ভূমিপুত্রদের’, ‘বাংলা পক্ষের’ হুঙ্কারে কেঁপে উঠল মমতা সরকার >
বুধবার থেকে ফুটপাথ উদ্ধারে হকার উচ্ছেদ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অবৈধভাবে জমি দখলদারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। মালদহের ইংলিশ বাজারে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হয়েছে। সিউড়িতে শুরু হয়েছে জবরদখল উচ্ছেদের কাজ শুরু। পাশাপাশি ওল্ড এবং নিউ দিঘাতেও অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদে নামে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।