Advertisment

হর্ন বাজিয়ে ফাইন দিলেন ৩০০০ জনেরও বেশি

এমনিতেই শব্দদূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে শহরে। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান তো বটেই, রাস্তায় গাড়ির হর্নের আওয়াজেও তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিল শহরবাসী। হাসপাতাল, বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় আলাদা করে নো হর্ন জোন তৈরি করেও সমস্যার সুরাহা হচ্ছিল না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
KOLKATA CAR

অকারণে হর্ণ বাজালেই জরিমানার অঙ্ক গুনতে হচ্ছে গাড়ি চালকদের (এক্সপ্রেস ফোটো)

শহর জুড়ে শব্দদূষণের মাত্রা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাই এবার হর্ণ বাজালেই শাস্তি। অকারণ হর্ণ দেওয়ার প্রবণতা কমাতেই জোরদার প্রচারে নেমেছিল কলকাতা পুলিশ। তারই শাস্তি হিসেবে ৩১৫০জনকে জরিমানা করা হল। ২১ তারিখেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনামূলক প্রচার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল নো হঙ্কিং-কে। আর প্রথম চার দিনেই বিশাল সংখ্যক গাড়ি চালককে জরিমানার অঙ্ক গুনতে হল। বেশি হর্ণ বাজালেই গাড়ি চালকদের কড়কড়ে ১০০ টাকা গুণতে হচ্ছে।

Advertisment

এমনিতেই শব্দদূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে শহরে। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান তো বটেই, রাস্তায় গাড়ির হর্নের আওয়াজেও তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিল শহরবাসী। হাসপাতাল, বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় আলাদা করে নো হর্ন জোন তৈরি করেও সমস্যার সুরাহা হচ্ছিল না। তাই এবার সরাসরি পথে নামল কলকাতা পুলিশ। চলতি বছরে নো হঙ্কিংয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন নগরপালের নয়া ভাবনায় নাগরিক-মনোরঞ্জনে এবার কলকাতা পুলিশ ব্যান্ড

Kolkata Police Recruitment: কলকাতা পুলিশে ৩৩৪ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ

তারপরেই এবার বেশি হর্ণ দিলেই শাস্তির নিদান সরাসরি। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে জানান, "২১ অগাস্ট অকারণে হর্ণ দেওয়ার জন্য প্রচারের প্রথম দিনেই ৯৫৫ জন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছিল।" শহরের প্রায় ৭০০ বিশেষ স্থানে হর্ণ বাজানোর প্রবণতার বিরুদ্ধে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। যে গাড়িগুলি থেকে অতিরিক্ত হর্ণ দেওয়া হচ্ছে, সেই গাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে রাখার জন্য স্টিকারও লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের মোটরবিধি আইন অনুযায়ীই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে দোষীদের বিরুদ্ধে। একজন আধিকারিক জানালেন, "আমরা প্রত্যেক গাড়ির চালককেই বোঝানোর চেষ্টা করছি কোনও কারণ ছাড়াই হর্ণ যেন না দেন তাঁরা। হর্ণ দেওয়ার প্রবণতা থাকলেও চালকরা আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রসিংয়ে কোনও হর্ণ দেয় না। অনেক সময় ওভারটেকিংয়ের মাধ্যমও হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রবণতা। এই মানসিকতাতেই বদল আনার চেষ্টা করছি।"

ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাই মানছেন হর্ণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা প্রত্যেকের বেশ কম। কতটা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে লাগামছাড়া এই শব্দদৈত্যের বিষ? কলকাতার এক প্রাইভেট হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ বলছেন, "শব্দদূষণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুই-ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হাইপারটেনশন, অতিরিক্ত স্ট্রেস, ঘুমে বিঘ্ন, অবসাদ সহ একাধিক মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে আচমকা জোরে শব্দে চিরস্থায়ীভাবে শ্রবণক্ষমতা হারাতে হতে পারে।"

Read the full article in ENGLISH

kolkata police Pollution
Advertisment