বিধানসভায় জাতীয় সংগীতের অবমাননার অভিযোগে বিজেপির ১২ বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এবার তাঁদেরই মধ্যে থেকে ৫ বিধায়ককে নোটিশ পাঠাল লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা। নোটিস পাঠিয়ে ওই ৫ জনকেই ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিধানসভা চত্বরে ধরনা দিচ্ছিলেন তৃণমূল বিধায়করা। ওই ধরনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়েছিল। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়করা ওই বিধানসভা চত্বরে সেই সময়েই বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা তৃণমূল বিধায়কদের লক্ষ্য করে, ‘চোর, চোর’ স্লোগান দেন। অনেকে ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
বিজেপির এই পদক্ষেপে জাতীয় সংগীতের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ১২ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। তাঁদের মধ্যে থেকেই ৫ জনকে এবার নোটিশ পাঠিয়ে তলব লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখার।
আরও পড়ুন- এসএসকেএমে বালুর ঘরে কে আসছেন কে যাচ্ছেন? দেখতে তুমুল তৎপরতা ইডির
এদিকে শাসকদলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লালবাজারে এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনায় সরব বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এদিন সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "চাল চুরি থেকে শুরু করে সব দুর্নীতিতে তৃণমূল ফেঁসে গেছে। মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার নামে নতুন রাজনীতির ছক। রাজনীতি করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জাতীয় সঙ্গীতকেও হাতিয়ার করতে হল? তৃণমূল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেশেরই অপমান করল। বেকায়দায় পড়ে জাতীয় সঙ্গীতকে রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে এল তৃণমূল।"