ঠাটাপোড়া গরম, কিন্তু কর্তব্যে অবিচল ওঁরা। ৪০-৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়েই যান নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের। এ বার তাঁদের কিছুটা স্বস্তি। এসে গেল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) হেলমেট। কলকাতার রাস্তায় এসি হেলমেট পড়ে যান শাসন করতে দেখা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক কর্মীদের। তবে আপাতত শুধু কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সাউথ গার্ডের হাতে এই হেলমেট তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সফল হলে কলকাতা পুলিশের সব ট্রাফিক কর্মীরাই এই এসি হেলমেট হাতে পাবেন।
Advertisment
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই এসি হেলমেট। ঠান্ডা করার যন্ত্র চলে ব্যাটারিতে। এক বার চার্জ দিলে যন্ত্রটি প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। শুধু ঠান্ডা রাখাই নয়, এই হেলমেট ধুলোর দূষণের হাত থেকেই পুলিশকর্মীদের কিছুটা রক্ষা করবে। বাইরে থেকে বাতাস টেনে তা পরিশুদ্ধ করে এসি হেলমেটে প্রবেশ করানো হয়। তবে এসি হেলমেটের ওজন কিছুটা বেশি। বর্তমানে পুলিশকর্মীরা যে হেলমেট ব্যবহার করেন, তার থেকে এসি হেলমেটের ওজন প্রায় ৫০০ গ্রাম মতো বেশি বলে জানা গিয়েছে।
প্রচণ্ড গরমে এসি হেলমেট পরে কাজ করলে শরীর খারাপের সম্ভাবনা নেই? লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে এসি হেলমেট পরে কাজ করলে পুলিশ কর্মীদের মাথার সঙ্গে দেহের অন্য অংশের তাপমাত্রার ফারাক হবে। এতে শরীরের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি না তার নজর রাখা হচ্ছে। এর আগে গরম থেকে মুক্তি দিতে ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের 'নেক কুলার' ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে পরে 'নেক কুলার' বাতিল করা হয়।
চলতি মাসে আমদাবাদ পুলিশও পরীক্ষামূলক ভাবে এই হেলমেটের ব্যবহার শুরু করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও পুলিশের মাথায় এসি হেলমেট পড়ার চল রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের উপ-নগরপাল (ট্র্যাফিক) সূর্যপ্রতাপ যাদব এবং ট্র্যাফিক বিভাগের ইকুইপমেন্ট সেলের অধিকারিকরা। তারপরই এসি হেলমেট কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের মাথায় তুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয় লালবাজারের তরফে।