আলোর উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকাতে অন্যান্য বছরের মতোই তৈরি কলকাতা পুলিশ। কালীপুজো ও দীপাবলিতে শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে লালবাজার। প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। এবছর তফাৎ একটাই, শব্দবাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকর করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ।
এদিন লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, কালীপুজো উপলক্ষে ৬১৮টি পিকেট থাকছে। এছাড়াও থাকছে ২৫টি ডিভিশনাল মোবাইল, মোট ২৩টি এইচআরএফএস বা হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ১৩টি স্পেশাল এইচআরএফএস। নজরদারির জন্য বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। মোট ২৭টি ওয়াচ টাওয়ার থাকছে। ৮টি সিসিটিভিতেও চলবে নজরদারি। থাকছে ২৪টি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। নজরদারি চালানো হবে ২৩টি মেট্রো স্টেশনেও।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে আলোর বাজারে ঘনিয়েছে অন্ধকার
রাত ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত নগরপাল (৩) সুপ্রতিম সরকার বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে নজরদারি করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোথাও বাজি পোড়ানো হচ্ছে কিনা তা তদারক করার জন্য ১১৪টি অটোরিকশ ভাড়া করা হচ্ছে। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সরু গলিতে গাড়ি ঢুকবে না, ফলে সেসব জায়গায় টহলদারির জন্য অটোরিকশ রাখা হচ্ছে। শহরের চারটি বড় কালী মন্দিরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। কালীঘাট, ঠনঠনিয়া, লেক কালীবাড়ি ও টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালী মন্দিরে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
৭ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে বিসর্জন উপলক্ষ্যেও থাকছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ৩৪টি ঘাটে জোরদার নিরাপত্তা থাকছে। ২৫৫টি পিকেট থাকছে। ২৯টি ঘাটে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রোজ দুপুর তিনটে থেকে বাজে কদমতলা ঘাটে থাকছে রেসকিউ টিম। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও এই নিয়ম ভাঙলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে।
কোনও অভিযোগ জানাতে হলে হেল্পলাইন হিসেবে থাকছে ১০০।