কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কলকাতা বন্দরের নতুন নাম হল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর। এদিন কলকাতা বন্দরের ১৫০-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী। সেখানেই এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর আশ্বাস, কলকাতা বন্দরকে নিউইন্ডিয়ার প্রতীক বানানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘ছোটরা পারলেও বড়রা বুঝতে অপারগ’, সিএএ প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর
রবিবার সকালে বেলুড় মঠ থেকে জলপথে কলকাতা আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যোগ দেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা বন্দরের ১৫০-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে। সেখানেই ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে, আমন্ত্রিত হলেও আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের স্বাধীনতায় ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার উন্নয়নে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। জানান, '“দেশে শিল্পায়ণের প্রণেতা, বাংলার উন্নয়নের প্রবক্তা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নামে এই বন্দরের নামকরণ করতে পেরে আমি ধন্য।' ক্ষমতায় এসেই গঙ্গা পরিস্কারের উদ্যোগ নেয় মোদী সরকার। জানান, ২০২১ সালে গঙ্গা দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করবে। কলকাতা বন্দরের মাহাত্মের কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কলকাতা বন্দর শুধু জাহাজের যাতায়াতের জায়গা নয়। পুরো ইতিহাস এই বন্দরের মধ্যে অন্তর্নিহিত।'
আরও পড়ুন: ‘গো ব্যাক মোদী’, প্ল্যাকার্ড হাতে, স্লোগান তুলে আজও পথে প্রতিবাদীরা
সিএএ ইস্যুতে নাম না করেই বেলুড় মঠ থেকে এদিন বিরোধীদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দরের অনুষ্ঠানেও তৃণমূল সরকারকে বিধতে ছাড়েননি তিনি। উজ্জ্বলা ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাংলায় রূপায়ণ করেনি মমতা সরকার। সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'এরাজ্যের মানুষদের কী উজ্জ্বলা ও আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পের সুবিধা নিতে দেবে? এগুলোতে সিন্ডিকেট নেই তাই উৎসাহও নেই।' তাঁর ঘোষণা, 'এইসব প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত রাখা যাবে না।' তিনি জানান, 'পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে কেন্দ্রের তরফ থেকে অনেক রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করা হচ্ছে।'