শনিবার সন্ধেয় কলকাতায় তাণ্ডব চালাল কালবৈশাখী। ঘণ্টায় ৭৮ কিমি বেগে ঝড় হয়েছে কলকাতায়। সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ ঘণ্টায় ৭৮ কিমি বেগে শহরে ঝড় হয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল ঝড়। কলকাতার পাশাপাশি হুগলি, বর্ধমান বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকায় খুব একটা স্বস্তি মিলবে না বলেই মত আবহাওয়া দফতরের।
উল্লেখ্য, ভোটের উত্তাপ কেটেছে, আর তারপরই কলকাতার আকাশে ছুঁয়েছে কালো মেঘ। শুক্রবার রাতেই কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন শহরবাসী। আজও সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। বিকেলের পর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ৫ জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: কবে আসবে বর্ষা? অপেক্ষায় বাংলা
শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ, ন্যূনতম ৫২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়েছে ০০৩.৩ মিমি।
অন্যদিকে, এবার উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিক সময়ে বর্ষা ঢুকলেও, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে দেরি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কেরালায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢোকার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। কিন্তু এবার স্বাভাবিক সময়ের ৫ দিন পর দক্ষিণের রাজ্যে বর্ষা ঢুকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নির্দিষ্ট দিনের দু’দিন আগে ৩০ মে বর্ষা ঢুকেছিল দেশে। ২০১৮ সালে ২৯ মে বর্ষা ঢুকেছিল কেরালায়।