Advertisment

ছাত্রকে খুনের অভিযোগ! নামজাদা বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

ফি কমানোর দাবিতে অভিভাবকরা আন্দোলন করেছিলেন। তার রেশ হিসেবে এই ষড়যন্ত্র। এমনটাই অভিযোগ মৃত ছাত্রের বাবার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
TMC Leader Killed in Ashokenagar

TMC Leader Killed: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা।

কলকাতার কসবা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুল ভবনের চতুর্থ তলা থেকে পড়ে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর একদিন পরে, পুলিশ মঙ্গলবার স্কুলের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে খুনের এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এর আগে থানায় একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী বলেন, 'নিহত ছাত্রের বাবা কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। স্কুলের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং অন্য দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁদের ছেলেকে হত্যার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আইপিসি ধারা ৩০২ (খুন) এবং ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র)-এর অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।'

Advertisment

মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ যে তাঁর ছেলেকে স্কুল শিক্ষকরা টার্গেট করেছিলেন। সোমবার ওই পড়ুয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এই ব্যাপারে তাঁর অভিযোগ, 'সোমবার স্কুলে একটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। সময়মতো জমা দিতে না-পারায় ওকে (ওই ছাত্র) তিরস্কার করা হয়। কান ধরে ক্লাসে দাঁড় করানোয় ও অপমানিত বোধ করেছিল।' তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে তাঁর ছেলেকে টার্গেট করা হয়েছিল কারণ তিনি কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন স্কুলের ফি কমানোর দাবিতে অভিভাবকদের একত্রিত করেছিলেন। মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, 'কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন, আমি ফি কমানোর দাবিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মা-বাবাদের একত্রিত করেছিলাম। স্কুল শেষ পর্যন্ত আমাদের চাপে ৩৩% ফি কমিয়েছে। তারপর থেকে, আমার ছেলের সঙ্গে স্কুলে অন্যরকম আচরণ করা হচ্ছিল।'

ছাত্রের বাবা আরও অভিযোগ করেছেন যে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাঁকে বলেছিল যে তাঁর ছেলে সিঁড়ি থেকে পড়ে গেছে এবং ঠিক আছে। ওই শিশুটির বাবা বলেন, 'কিন্তু আমরা যতক্ষণে হাসপাতালে পৌঁছলাম, ততক্ষণে ও মারা গেছে। উঁচু থেকে মৃত্যুর মুখে পড়ে গেলেও তার শরীরে হাড় ভাঙার কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি। তাঁকে প্রথমে হত্যা করা হয়েছে। তারপর স্কুল ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।' এদিকে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনার পর স্কুল পরিদর্শন করে। ১৬ বছর বয়সি শিশুটি যেখানে পড়েছিল, তাঁরা সেই স্থানও পরিদর্শন করেন। ফরেনসিক দলটি প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাক্রম পুনর্গঠন করেছে।

আরও পড়ুন- কুস্তি-দোস্তি সবই কথার কথা, আসল লক্ষ্য ক্ষমতাই, পঞ্চায়েতের পর বাংলা ছেয়েছে রামধনু জোটে

তদন্তকারীদের মতে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে ছাত্রটি দুপুর ২টো পর্যন্ত জীবিত ছিল এবং শেষবার তাকে ভবনের ওপরের তলায় দেখা গিয়েছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, 'বিষয়টির তদন্ত চলছে। কোনও স্কুল কখনও শিশুদের টার্গেট করে না। আর, তাদের হয়রানিও করে না। আমরা একটি শিশু-বান্ধব প্রতিষ্ঠান এবং যে অভিযোগ করা হচ্ছে, কোনও শিক্ষক তেমন কিছু করেনি।'

Death school student
Advertisment