শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভরসায়’ অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন এসএসএসি চাকরিপ্রার্থীরা। ২৯ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়ো রোডে অনশন তুলে নিলেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রয়েছে। রাজ্য সরকার দাবি না মানলে ফের অনশন বসব’’, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েই অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার ২৮ দিনে পড়ে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশন। সে দিনই সন্ধ্যায় কলকাতার মেয়ো রোডে এই অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশনকারী চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন মমতা। চলতি বছরের জুন মাসে অর্থাৎ নির্বাচনী আচরণবিধির মেয়াদ শেষ হলে এই কমিটি কাজ শুরু করবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, এই কমিটিতে ৫ আমলা যেমন থাকবেন, তেমনই অনশনকারীদের ৫ প্রতিনিধিকেও রাখা হবে।
অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “আপনাদের দাবিগুলি পার্থদাকে জানান।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মমতার নির্দেশ, ওঁদের দাবিগুলি শুনুন। এ বিষয়ে একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজতে হবে বলে এদিন বারবার উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি আরও জানান, যাঁরা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি হোক, এমনটাই তিনি চান। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকায়, চাকরিপ্রার্থীদের একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চাকরিপ্রার্থীদের চিঠি পেয়েই মঙ্গলবার অনশনমঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে, আমি এর থেকে বেশি কিছু এখন বলতে পারব না’’। তিনি আরও বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের এই নিয়োগ ‘‘আইনের কারণেই আটকে রয়েছে। আইনের মধ্যে থেকেই কিছু একটা করা হবে।’’ এ জন্য প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তনও করা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন মমতা। অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি যে তিনি সহনাভূতির সঙ্গে দেখছেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই এদিন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন অনশনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস মতো অনশন প্রত্যাহার করে নেয় তাঁরা।