এসএসকেএম হাসপাতালে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ৩টি ঘর। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সিটি স্ক্যান বিভাগের। অগ্নিকাণ্ডের জেরে সিটি আজ দিনভর হাসপাতালের সিটি স্ক্যান, ইউএসজি, ডিজিটাল এক্সরে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশহ্কা প্রবল।
এসএসকেএম হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের পর আতঙ্ক এখনও রয়ে গয়েছে। আজ সকাল থেকে পরিষেবা চালু হলেও লোকের মুখে মুখে ফিরছে গতরাতের স্মৃতি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টা দু'য়েকর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন দমকলকর্মীরা। অগ্নিকাণ্ড ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠেছে। আজ অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে যাবে ফরেনসিক দল। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলে রাজ্যের অন্যতম প্রধান এই হাসপাতালে এই ঘটনার জেরে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। খোদ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাই এসএসকেএমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সরকারের উপরমহলের নির্দেশেই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমের এমার্জেন্সি বিভাগের সামনে হঠাৎই আগুন লাগে। জানা গিয়েছে, সিটি স্ক্যান বিল্ডিংয়েই প্রথমে আগুন লেগেছিল। এসএসকেএম হাসপাতালের ভিতরেই থাকে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ওই দুটি ইঞ্জিনকেই কাজে লাগানো হয়। পরে ধাপে ধাপে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দমকলের আরও ৯টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে আগুন নেভানোর কাজ। ততক্ষণে ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে হাসপাতাল চত্বর।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় বাংলায় সক্রিয় রাজ্যপাল হয়ে কাজ করব: সি ভি আনন্দ বোস
জোরদার তৎপরতার সঙ্গে রোগীদের আশ্বস্ত করারও চেষ্টা চালিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। হুলস্থূল পড়ে গিয়েছিল গোটা হাসপাতালে চত্বরে। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিদেবীও। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলকর্মীদের। তবে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে আরও কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালিয়েছেন দমকলকর্মীরা।তবে এসএসকেএমের মতো হাসপাতালে এমন অগ্নিকাণ্ডে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করতে আজ এসএসকেএম হাসপাতালে যাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল।