গরম থেকে কিছুতেই যেন নিস্তার মিলছে না কলকাতায়। শনিবারের কালবৈশাখীতে সপ্তাহান্তে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, রবিবারের পর থেকে শহরে অস্বস্তি বেড়েছে। আপাতত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দু’একটা জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও আদতে স্বস্তি মিলবে না। অর্থাৎ, আগামী কয়েকদিনে আবারও দহনজ্বালায় জ্বলবে কলকাতা।
আরও পড়ুন: কবে আসবে বর্ষা? অপেক্ষায় বাংলা
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানানো হয়েছে, ‘‘আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই কলকাতায়। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬-৩৭ ডিগ্রির কাছে’’। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। শহরে বাতাসে সর্বাধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ, ন্যূনতম ৫৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় কালবৈশাখী, ঘণ্টায় ৭৮ কিমি বেগে ঝড়
কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও পারদ চড়ছে। এদিন আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও একই। বর্ধমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ায় পারদ ছুঁয়েছে ৪১.৭ ডিগ্রিতে। মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯ ডিগ্রিতে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ঊর্ধ্বমুখী পারদ। কোচবিহারে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জলপাইগুড়িতে পারদ ছুঁয়েছে ৩২.৭ ডিগ্রি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধেয় কলকাতায় তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী। সেদিন সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ ঘণ্টায় ৭৮ কিমি বেগে শহরে ঝড় হয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল ঝড়। কলকাতার পাশাপাশি হুগলি, বর্ধমান বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়।