Advertisment

রথের চাকায় পিষতে চাওয়া লকেটকে প্রশাসনিক পদক্ষেপের হুমকি পার্থর

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "বিজেপি আসলে সাম্প্রদায়িকতাকে উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এই ধরনের উত্তেজক মন্তব্য করেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ বিভাজন নীতিতে মদত দেবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিন দুয়েক আগেই বিজেপি-র মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চ্যাটার্জি মন্তব্য করেছিলেন, রুখতে এলে পিষে দেওয়া হবে রথের চাকাতেই। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই করা দরকার, বলেছিলেন অভিনেত্রী। রবিবার সেই মন্তব্য ঘিরেই প্রতিক্রিয়া আসতে থাকল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। রাজ্য তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে উত্তেজক মন্তব্য করে শহরের শান্তি বিঘ্ন করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

Advertisment

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "বিজেপি আসলে সাম্প্রদায়িকতাকে উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এই ধরনের উত্তেজক মন্তব্য করেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ বিভাজন নীতিতে মদত দেবে না। এই মন্তব্য করার জন্য প্রশাসন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে"।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, রথের চাকা খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি অভিষেকের; বুকের ওপর রথ চালাব, পাল্টা বললেন দিলীপ

ডিসেম্বরের ৫, ৭ ও ৯ তারিখে রাজ্যের তিন জায়গা থেকে রথ বের করবে বিজেপি। প্রথমটি তারাপীঠ, দ্বিতীয়টি কোচবিহার ও তৃতীয় রথটি যাত্রা শুরু করবে গঙ্গাসাগর থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, রথযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে চাইছে। রথযাত্রা প্রসঙ্গে অভিষেক ইতিমধ্যে বলেছেন, “আবার বলে যাচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অনুমতি দেন, রথের ‘র’ থাকবে না। চাকাও থাকবে না। দড়িও থাকবে না। অনেক দেখেছি। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

রথের প্রধান উদ্দেশ্যই হল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে প্রতিদিন যাত্রাপথে তিন ধরনের সভার আয়োজন করা হবে। সেই সভায় দলের নানা স্তরের নেতৃত্ব বক্তৃতা দেবেন। রথ চলাকালীন রাজ্য নেতৃত্ব পালা করে তাতে যোগ দেবেন, পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও দফায় দফায় রাজ্যে আসবেন।

Read the full story in English

Advertisment