পুজোর আগেই পুজোর মিছিল। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে সেরার সেরা-র শিরোপা দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল হল শহর কলকাতায়। বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে ইউনেস্কো। তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতেই আজ রাজ্যজুড়ে ধন্যবাদ-জ্ঞাপন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে রেড রোডে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের অন্য মন্ত্রী ও বিশিষ্টজনেদের পাশেই নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এদিন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পুজোয় প্যান্ডেল হপিং ও কার্নিভালে উপস্থিত থাকতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জোড়াসাঁকো থেকে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শেষ হয় রেড রোডে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ছুঁয়ে এগোয় রঙিন এই শোভাযাত্রা। ঢাকের বাদ্যি, ধুনুচি নাচ, শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয় শহর কলকাতার আকাশ-বাতাস। ধামসা-মাদলের বোল আর ছৌ শিল্পীদের অপরূপ নাচ পুজোর এই শোভাযাত্রাকে আরও রঙিন করে তোলে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন বহু বিশিষ্টজনেরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে টলিউডের কলাকুশলীদেরও। মিছিলে কলকাতার সব পুজো কমিটি অংশ নিয়েছে। এছাড়াও মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও তাঁদের পতাকা-ব্যানার হাতে রঙিন এই মিছিলে সামিল হয়। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর ৩০ দিন আগেই এই মহামিছিলকে কেন্দ্র করে শহরে আকাশে-বাতাসে ছিল আগমনীর সুর। রেড রোডের রহিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সহাস্য ঘোষণা, ”আজ থেকেই পুজো শুরু।”
''ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ইউনেস্কোকে স্যালুট জানাই। সারা বাংলায় শোভাযাত্রা হচ্ছে। ইউনেস্কোর সাপোর্ট অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল ও খড়গপুর আইআইটিকে দিয়ে স্টাডি করিয়েছিলাম। পুজোকে কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। পুজোর সঙ্গে সব স্তরের মানুষ যুক্ত হয়ে পড়েন। আজ থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেল।'' রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও প্যান্ডেল হপিং, পুজো কার্নিভাল দেখতে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের কলকাতায় আমন্ত্রণ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের মঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেষ মহারাজকে ছোট ভাই বলে সম্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
''এই উৎসবের পাঁচদিন একেবারেই আলাদা। দুর্গাপুজো কত বড়, তা বোঝার জন্য দেখতে হবে। এই উৎসব সবার মুখে হাসি ফোটায়। স্বীকৃতির জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ। এই শহরের আতিথেয়তা উপভোগ্য।'', রেড রোডে সংক্ষিপ্ত বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।




রেড রোডের মঞ্চে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গা প্রতিমার একাধিক মূর্তি। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয়ে দুর্গাপুজোর মহামিছিল এসে শেষ হয়েছে রেড রোডে। রেড রোডের মঞ্চে নজরকাড়া অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃষ্টিস্নাত কলকাতায় পুজোর রঙিন মিছিল। প্রবল উন্মাদনাকে থমকে দিতে চেয়েছিল অসুর বৃষ্টি। তবে প্রবল উদ্দীপনা আর বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানল বৃষ্টি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পৌঁছে গেল রেড রোডে। দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমা উপলক্ষে রেড রোডে নজরকাড়া অনুষ্ঠান।
রেড রোডে পৌঁছে গেল পুজোর মিছিল। রেড রোডে উপচে পড়া ভিড়। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা জানানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইউনেস্কোকে ধন্যাবাদ-জ্ঞাপন মিছিলকে কটাক্ষ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। কাজের দিনে রাজ্য সরকারের তরফে এই মিছিলের আয়োজন ঘিরে কটাক্ষ বিজেপি নেত্রীর।
দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত মহামিছিলকে শুভেচ্ছা রাজ্যপাল লা গণেশনের। টুইটে তিনি লিখেছেন, ''এটি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য গর্বের বিষয়। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো মানবতার অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবছর দুর্গা পুজো উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপন শুরু করেছে।''
দুর্গাপুজোর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সামিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। দুই বড় ক্লাবের সদস্যরা উৎসবের আনন্দে গা ভাসাতে রাজপথে। সবুজ-মেরুন পতাকা হাতে রঙিন মিছিলের ঔজ্বল্য বাড়িয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। তেমনই লাল-হলুদ পতাকা ও বিশাল ব্যানার সঙ্গে নিয়ে মিছিলে পা মিলেযেছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্যরা।
'আজ থেকেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল', বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে কলকাতায় মহামিছিল। বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রার নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্গাপুজোর মিছিল এগিয়ে চলেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে। মিছিলের শেষভাগ এখনও জোড়াসাঁকো চত্বরেই রয়ে গিয়েছে। ইউনেস্কোকে স্বাগত জানানোর এই মহামিছিলে কাতারে-কাতারে মানুষের ভিড়। পুজোর সাজে রঙিন কলকাতা। শহরজুড়ে উতসবের ভরপুর আমেজ।
ইউনেস্কোকে ধন্যাবাদ জানিয়ে মহামিছিলের নেতৃত্বে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন বাংলার বহু বিশিষ্টজনেরা। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গেই মিছিলে হাঁটছেন টলিউডের এক ঝাঁক শিল্পী।
কলকাতাজুড়ে আগমনীর সুর। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে শহরে মহামিছিল। ঢাক কাঁধে শহর ঘুরছেন ঢাকিরা। তাঁদের রঙিন সাজ নজর কাড়ছে। ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই মিছিলে শঙ্খধ্বনি। ধামসা-মাদল নিয়ে নাচ।
জোড়াসাঁকো থেকে উৎসবের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু পদযাত্রা। নেতৃত্বে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে উপচে পড়া ভিড়। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের বিধায়ক, মন্ত্রীরা হাজির। রয়েছেন টলিউড, টেলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রীরাও।
মধ্য কলকাতায় বৃষ্টি। ফলে ব্যহত শোভাযাত্রার আয়োজন। তবে ঘাটতি নেই উৎসবের আমেজে।

ছবি- শশী ঘোষ

ছবি- শশী ঘোষ

ছবি- শশী ঘোষ
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। জমায়েত প্রায় সম্পূর্ণ। শোভাযাত্রা শুরু হবে দুপুর ২টোয়। তার আগেই শহরে এক পশলা বৃষ্টি গেল।



ছবি: শশী ঘোষ।
দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর। ধন্যবাদ জানিয়ে আজ মহামিছিলে রঙিন কলকাতা। পুজোর আগেই শহরে পুজোর ভরপুর আমেজ। ঢাকের বাদ্যি, শাঁখের আওয়াজে পুজোর চেনা ছন্দে তিলোত্তমা মহানগরী। ধুনুচি নাচে পা মেলালেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।





ছবি: শশী ঘোষ।

দূর দূরান্ত থেকে শিল্পীরা হাজির শহরে।



ছবি: শশী ঘোষ।

ছবি: শশী ঘোষ।
ইতিমধ্যেই অনেক পুজো কমিটির সদস্যরা পৌঁছে গিয়েছেন জোড়াসাঁকো চত্বরে। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ সব ছোট-বড় পুজো কমিটিগুলির ব্যস্ততা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে আজ পুজোর মিছিলে হাঁটবেন পুজো কমিটিগুলির সদস্যরা।
দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর। ইউনেস্কোকে সম্মান জানিয়ে কলকাতায় মহামিছিল। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন শহরে। জোড়াসাঁকো থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শেষ রেড রোডে। রেড রোডে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন। বসছে বাউল গানের আসর।
দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর। স্বীকৃতি জানিয়ে আজ ধন্যবাদ মিছিলে স্তব্ধ হবে মহানগরী। মিছিলের জন্য একাধিক রাস্তা বন্ধ রাখা হবে। বেলা ১টার পর থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। স্ট্র্যান্ড রোড ধরে হাওড়ায় যেতে হবে। অনুষ্ঠানের জন্য দিনভর বন্ধ রেড রোড।
পুজোর আগেই আজ শহরে পুজোর মিছিল। দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমার স্বীকৃতির জন্য মিছিলের জেরে বাস, মিনিবাস-সহ অন্য গাড়ির চলাচলে নিয়ন্ত্রণ। উত্তর কলকাতা থেকে ধর্মতলাগামী বাস-মিনিবাসগুলি শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে ঘোরানো হবে। এপিসি রোড হয়ে শিয়ালদহ দিয়ে মৌলালি হয়ে যাবে গাড়িগুলি।
''সব ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাকে শশ্মান করে দিয়ে যাবেন। আগামী দিনে কিছুই থাকবে না বাংলায়। বোম্বাগড়ের রাজার মতো আচরণ।'' দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমা উপলক্ষে শোভাযাত্রা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ।
''দুর্গাপুজো একটি আবেগ যা সংকীর্ণ বাধার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের একত্রিত করে। এটি আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে শিল্পের মহিমাকে একত্রিত করে। দুর্গাপুজোকে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলের ভালোবাসার শ্রমকে সম্মান জানানোর জন্য আমরা UNESCO-কে ধন্যবাদ জানাই।''
কলকাতার বুকে কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু আনন্দ উৎসব। তবে এই সময়ে সংবাদ মাধ্যমের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে অন্তরালেই রয়ে গেলেন এই গোটা কর্মযজ্ঞের নেপথ্য কারিগর প্রফেসর তপতী গুহ ঠাকুরতা। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই যুক্ত দেবী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রফেসর তপতী গুহ ঠাকুরতা কখনই দুর্গাপুজোর এই সম্মানলাভের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনীতি হোক সেটা চান না। দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পিছনে কৃতিত্ব কার, এটা নিয়ে কোনও দড়ি টানাটানি তাঁর পছন্দ নয় বলেই জানান দেবী চক্রবর্তী। পড়ুন বিস্তারিত