রাতে ঘুমোনোর সময় ফ্যান চালানোর খানিক্ষণ বাদেই টের পাওয়া যায় তাঁর আসতে আর বেশি দেরি নয়। কিংবা ভোরবেলায় যখন গায়ে চাদর না জড়ালে মনে হয় ‘‘শীত করছে’’। দুর্গাপুজো শেষ মানেই বাঙালির ঘরে ঢুকে পড়ে শীত। এবারও তার খুব একটা ব্যতিক্রম ঘটছে না। গত সপ্তাহে পুজো শেষ হয়েছে। আর এরমধ্যেই রাতের দিকে ও ভোরবেলায় শীতের শিরশিরানি ভালই টের পাচ্ছেন শহরবাসী। তবে হেমন্তে শীতের শিরশিরানি থাকলেও, এখনই সেভাবে শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস। আগামিকাল থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়বে বলেও পূর্বাভাস মিলেছে হাওয়া অফিসের তরফে।
অন্যদিকে, রাজ্যে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চলতি মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। এদিকে, ওই দু’দিন দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরেই এই বৃষ্টি হতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। আগামী ২৯ ও ৩০ অক্টোবর সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন,বিপদ আসার আগেই জানান দেবে ডিভাইস, গবেষণায় বাঙালি বিজ্ঞানী
বৃষ্টির ফলে কি পারদ নামবে? তাপমাত্রার কি হেরফের হবে? জবাবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ওই কর্তার কথায়, ‘‘সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খানিকটা কমলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না, বরং খানিকটা বাড়বে।’’কাল থেকে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।