উত্তুরে হাওয়া, হিমের পরশ, পার্ক স্ট্রিটের বাহারি আলো বলছে বড়দিন এল বলে। ক’দিন বাদেই ক্রিসমাস, তার আগেই জবুথবু শহর কলকাতা। গত কয়েকদিন ধরেই পারদ নামছে শহরে। উইকেন্ডে সেই পারদ নেমে এল ১২-র ঘরে। যা এ মরশুমের শীতলতম দিন। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বড়দিনেও এমন হাঁড়কাঁপানো ঠান্ডা বজায় থাকবে বলেই আশ্বস্ত করেছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা।
কলকাতার পারদ পতন প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘বড়দিন পর্যন্ত এমন শীতের আমেজ থাকবে। বড়দিনের পরেও কয়েকদিন তাপমাত্রা এমন থাকবে। আজ মরশুমের শীতলতম দিন।’’
আরও পড়ুন, নিম্নচাপ সরতেই চেনা ছন্দে শীত, বড়দিনও কনকনে
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে এক ধাক্কায় পারদ চড়ছিল শহর কলকাতার। সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। সেই ‘ফেতাই’-এর ধাক্কায় এ শহরে বেকায়দায় পড়েছিল শীত। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের রেখা এ রাজ্য থেকে সরতেই স্বমহিমায় ফিরল শীত। বড়দিনে যে শহরের তাপমাত্রা কমবে ধীরে ধীরে, তার পূর্বাভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস।
অন্যদিকে, কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও অব্যাহত শীতের কামড়। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একধাক্কায় নেমেছে পারদ। এদিন বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বর্ধমানে এদিন পারদ নেমেছে ১০.৮ ডিগ্রিতে। কৃষ্ণনগরের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১০.৬ ডিগ্রিতে। শ্রীনিকেতনের পারদ নেমেছে ৯.১ ডিগ্রিতে। অন্যদিকে, দিঘার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০.৫ ডিগ্রিতে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, মালদহ ও বালুরঘাটের তাপমাত্রা যথাক্রমে ১০.১, ১৩.১ ও ১৩ ডিগ্রি।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। শহরে বাতাসে সর্বাধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৬ শতাংশ, ন্যূনতম ৩৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়নি।