আবারও এ রাজ্যে অ্যাসিড হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। এবার খোদ কলকাতাতেই অ্যাসিড হামলার শিকার হলেন এক মহিলা। শনিবার আনন্দপুর থানা এলাকায় এক মহিলাকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় গত রবিবার আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "গত ২৪ তারিখ আনন্দপুর থানা এলাকায় এক মহিলাকে অ্যাসিড ছোড়া হয় বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার থানায় ওই মহিলা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ওঁর প্রাক্তন স্বামী জানে আলম খান এই হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।" ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। হামলার পর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় নির্যাতিতার।
আরও পড়ুন, শহরে ফের মদ্যপ চালকের উৎপাত, শিক্ষিকার ‘শ্লীলতাহানি’
অ্যাসিড হামলার মতো বর্বরোচিত ঘটনা কেন বারবার ঘটছে? কেন রোখা যাচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া দরকার। শাস্তির সীমা আরও কড়া হওয়া দরকার। তাহলে হয়তো অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে।" এ প্রসঙ্গে লীনাদেবী আরও জানান, "যদিও আগের চেয়ে অ্যাসিড হামলার হার এখন অনেকটাই কমেছে।"
অ্যাসিড হামলাকারীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা বললেন অ্যাসিড আক্রান্ত মণীষা পৈলানও। তাঁর বক্তব্য, "অ্যাসিড আক্রমণের ঘটনা দিনের পর দিন ঘটছে। আমার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ধরা পড়ার পর ছাড়া পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে আক্রান্ত হচ্ছে, সে ঘরবন্দি হয়ে বসে রয়েছে। আর যে হামলা চালাল, সে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুতরাং তাকে যদি শাস্তি না দিতে পারা যায়, তবে হামলা কী করে কমবে? তাছাড়া অ্যাসিড বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞাও মানা হয় না। অ্যাসিড আক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে মর্মান্তিক। প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে।"