Krishnanagar Murder:ছেলে খুনি জেনেও বাঁচাতে লাগাতার চেষ্টা BSF জওয়ান বাবার, জয়সালমীর থেকে কৃষ্ণনগরে রাঘবেন্দ্র

 সোমবার বিকেলে দেশরাজ সিংয়ের বাবা ধৃত রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংকে জয়সলমীর থেকে নিয়ে আসা হলো কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানাতে। এদিন তাকে আকাশী রঙের একটি গেঞ্জি ও নস্যি রঙের প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে ধরা পড়ে দেশরাজ সিংয়ের বাবা রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং।

জয়সলমীরের কুড়ি নম্বরের জওয়ান। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী ইশা মল্লিক খুনে অভিযুক্ত ছেলে দেশরাজ সিংকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। অথাৎ ছেলের সমস্ত কীর্তিকলাপ জানার পরও বিএস এফের কর্মরত জওয়ান হয়ে তাকে সাহায্য করে গিয়েছে। রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে কৃষ্ণনগর পিডির একটি টিম তাকে গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতার করে ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কোতোয়ালি থানাতে নিয়ে আসা হয়।এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার আগেই জানিয়েছিলেন, 'তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'

 প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট কৃষ্ণনগর মানিকপাড়ার বাড়িতে খুন হয়ে যান ছাত্রী ইশা মল্লিক। এই খুনে অভিযুক্ত দেবরাজ সিংক পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর আগে দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে পুলিশ গ্রেফতার করে।তার বিরুদ্ধে নথি তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। এই খুনে অস্ত্র দেশরাজের দেশের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। প্রতিবেশী নীতিনই কি সেই অস্ত্র দিয়েছিল? খুনে ব্যবহৃত সেই পিস্তলটাই বা কোথায়?

 তদন্তকারীরা এই সমস্ত কিছুর হদিস পেতে দেশরাজের মামার মতো বাবা রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিংকেও ধরতে চাইছিল। সেক্ষেত্রে রাজস্থানের জয়সলমীরে কর্মরত রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিংয়ের বিএসএফের দপ্তরে কোর্ট অর্ডার করা হলেও দপ্তর থেকে রিলিজ না করায় ফের কোর্ট অর্ডারের প্রক্রিয়া করে কৃষ্ণনগর পিডির পুলিশ। কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের বাবাকে হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএসএফের বেগ পাচ্ছিল পুলিশ।

রাঘবন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তাকে পুলিশের হাতে বিএসএফ তুলে দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। রাজস্থানের জয়সলমীরের বিএসএফের ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক অনুমতিপত্র দেখা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগর জেলার পুলিশের আধিকারিকদের হাতে দেশরাজের বাবাকে তুলে দিতে অস্বীকার করছিল।

রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিংকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিএস এফের পক্ষ থেকে আইজির অনুমতিপত্র দাবি করা হয়। ইশা মল্লিক খুন হওয়ার পর বাবা  

রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিংয়ের ছেলে দেশরাজকে টাকা দেওয়া থেকে সমস্ত রকমের সাহায্য করে। তাই পুলিশ এই খুনের তদন্ত সম্পূর্ণ করতে রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিংকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চাইছিল। শেষ পর্যন্ত রবিবার তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তাকে ধরার সঙ্গে সঙ্গে এই চাঞ্চল্যকর খুনের তদন্ত অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তদন্তকারীদের দাবি, ইশা খুনে সমস্ত ঘটনা জানে দেশরাজ কুলদীপ ও দেশরাজের বাবা রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিং। এই তিনজনের মধ্যে দুজন ধরা পড়ার পর দেশরাজের বাবা রাঘবন্দ্রে প্রতাপ সিং ধরা পড়ে যাওয়ায় পুলিশ সহজে তদন্তের কাজটা করতে পারবে।