Advertisment

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা: খোঁজই মিলছে না ছেলেদের, কপাল চাপড়ে ভগবানকে ডাকছে পরিবার!

বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ২৩৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kultali and jaynagar's youths are missing after balasore coromandel express accident

ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই বাড়ির ছেলেদের। ছবি: মীনা মণ্ডল।

Coromandel Express accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও খোঁজ নেই কুলতলির বাসিন্দা শ্যামাপদ নাইয়ার। বছর কুড়ির যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কাজের উদ্দেশে ওই ট্রেনে চেপেই পাড়ি দিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের উদ্দেশে। শুক্রবার সন্ধের পর থেকে তাঁর আর খোঁজ নেই। একইভাবে ওই ট্রেনেই সওয়ার জয়নগরের সরবেড়িয়ার যুবক সঞ্জীব মণ্ডলেরও খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। ওই যুবকও কাজের উদ্দেশে কেরলে যাচ্ছিলেন। প্রবল উৎকণ্ঠায় দুই পরিবার।

Advertisment

পড়শি রাজ্য ওড়িশার বালেশ্বর এখন যেন মৃত্যুপুরী। শালিমার থেকে ছেড়ে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস শুক্রবার সন্ধেয় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বালেশ্বরে। মারাত্মক সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল দেখছে গোটা দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ওই রেল দুর্ঘটনায় ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন সাড়ে ছ'শোর বেশি।

বাংলা থেকে ছেড়ে যাওয়া ওই ট্রেনের বহু যাত্রী এরাজ্যের বাসিন্দা। তাঁদেরই একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির যুপক শ্যামাপদ নাইয়া। পরিবারের দাবি, করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে শুক্রবার রওনা দিয়েছিলেন শ্যামাপদ। দুর্ঘটনার পর থেকেই পরিবারের লোকজন তাঁর ফোনে যোগাযোগ করে চলেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি।

আরও পড়ুন- করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা: কোলের সন্তানদের নিয়ে অথৈ জলে স্ত্রী, শোকে পাথর বাবা-মা

ওই এলাকারই এক যুবক কৃষ্ণ চক্রবর্তীও ওই ট্রেনেই ছিলেন। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। তিনি গ্রামে ফিরে আসছেন বলে জানতে পেরেছে নিখোঁজ যুবকের পরিবার। বাড়ির ছেলের খোঁজ না পেয়ে অজানা ভীষণ বিপদের আশঙ্কায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ নাইয়া বাড়িতে।

আরও পড়ুন- করমণ্ডল দুর্ঘটনা: চিৎকার-আর্তনাদে দুঃসহ অভিজ্ঞতা! বীভৎস স্মৃতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে দুই বন্ধুকে

একইভাবে গতকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ জয়নগরের যুবক সঞ্জীব মণ্ডলও। জয়নগর থানার সরবেড়িয়ার বাসিন্দা সঞ্জীবের পরিবারের দাবি, গতকাল দুপুরে দিনমজুরের কাজের জন্য কেরলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সঞ্জীব। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরতে শালিমার যান তিনি। সেখান থেকেই তিনি ট্রেন ধরেন। পরিবারের লোকজন ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তাঁর ফোনে একাধিকবার ফোন করেছেন। তবে সঞ্জীবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। শেষমেশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে সঞ্জীব মণ্ডলের বাড়ির লোকজন।

West Bengal Train Accident coromandel express accident
Advertisment