কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রের 'আচরণ'কে কাঠগড়ায় তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলেছি যে আপনারা কুম্ভ মেলার জন্য উত্তরপ্রদেশকে অনেক বেশি অর্থ প্রদান করেন। তবে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কিছুই করেননি।" তবে রাজ্যে প্রশাসনের তরফে পুণ্যার্থীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, পরিবহন ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, টেন্ট এবং সবরকম নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতার দিকেও সবরকম নজর রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধী বৈঠক বয়কট মমতার, দেখালেন ‘বিশেষ কারণ’
উল্লেখ্য, ১২ বছর অন্তর একবার হয় কুম্ভমেলা। হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ, নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে আয়োজন হয় এই কুম্ভমেলার। গত বছর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মেলা। এদিকে প্রতিবছরের গঙ্গাসাগরের মেলা নিয়ে প্রত্যেকবারই বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে রাজ্য। সেই মতো এ বছর মেলার শুরুতেই কপিলমুনির আশ্রমে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগরে আরও বেশ কিছু বাথরুম এবং রাস্তা করার জন্য আবেদনও করেন সন্ন্যাসীরা। তবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই বিষয়টি দেখে নেবেন, এমন আশ্বাসবাণীও দেন মমতা। ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই গঙ্গাসাগরের মেলা। হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সাগরদ্বীপে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণও করবেন।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে তীব্র বিস্ফোরণ, কাঁপল চুঁচুড়াও
এদিকে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি উলগাননাথন বলেন যে এই প্রথমবার রাজ্য সরকার কুম্ভ মেলার মতোই গঙ্গাসাগর মেলার বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অংশগ্রহণকারীদের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসন ট্রেন, বাসের সময় এবং বাসস্থানের সুবিধার জন্য 'অতিথি পথ' নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, "সুরক্ষা এবং রিয়েল-টাইম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে আমরা ১০০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ২০টি ড্রোন ইনস্টল করেছি। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে রিয়েল টাইম ভিড় ট্র্যাকিং করা হবে। সব বাস ও নৌকায় জিপিএসও লাগানো হয়েছে।"
Read the full story in English