'অরণ্যদেব গঙ্গোপাধ্যায়' বলে আগেই বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর এবার আর রাখঢাক করলেন না। নিশানা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে। সরাসরি বললেন, 'শুভেন্দু বেপরোয়া। পুলিশের বিরুদ্ধে যা নয় তাই কথা বলছেন। পুলিশকে মানছেন না। আইনশৃঙ্খলা পৈতৃক সম্পত্তি বলে মনে করছেন। তাঁর এই বেপরোয়ার মনোভাবের কারণেই বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য একমাত্র দায়ী বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তবে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার সম্মান আছে।'
Advertisment
কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, 'সাধারণ মানুষ যখন কোনও বিপদে পড়েন তখন বলেন আমি হাইকোর্টে যাব, বা সুপ্রিম কোর্টে যাব। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায় আমি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার কোর্টে যাব। কেন, কী জন্য? বিচারপতি রাজশেখর মান্থা শুভেন্দুর উপর সব এফআইআরে রক্ষাকবচ দিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি শুভেন্দু যে অপরাধ করেননি, তার উপরেও আগাম রক্ষাকবচ দিয়ে দিচ্ছেন। বলছেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে এফআইআর করতে হবে। এটা কী করে হয়? উনি কী জ্যোতিষী? এটা কোন দেশের আইন?'
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর করা যাবে না। এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব এফআইআর তুলে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আগেই শুভেন্দুকে রক্ষাকবচও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীই দায়ী বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। কেন অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শুভেন্দুকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে এফআইআর দায়েরের জন্য দ্বারস্থ হয় (কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা যাবে না।)। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থাকে তৃণমূল ভবনে ব সাংবাদিক বৈঠকে বেনজির আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ।