তৃণমূল নেতা বা তাঁদের আত্মীয়দের লটারিতে কোটি টাকা জয় নিয়ে বিস্তর হইচই। প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। শুভেন্দুর অধিকারী তো লটারি জয়ের নেপথ্যে অন্য গন্ধ পেয়েছেন। লটারির মাধ্যমে তৃণমূল নেতারা কালো টাকা সাদা করছেন বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। এসব বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার লটারির টিকিট কাটলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুধু টিকিই কাটলেন না, বিক্রেতাকেও মোক্ষম প্রশ্ন করলেন। সে কথা নিজেই সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন কুণাল।
এ দিন সকালে হলদিয়ায় ছিলেন কুণাল ঘোষ। সকালে বেরিয়েছিলেন। তখনই লটারির টিকিট কাটেন তিনি। এরপরই বিক্রেতার সঙ্গে নিজের কথোপকথন তুলে ধরেণ কুণালবাবু। সমাজ মাধ্যমে তিনি লেখেন, 'ডিয়ার লটারির টিকিট বিক্রেতাকে বললাম, এটা নাকি আগে সব ঠিকঠাক থাকে? তিনি বললেন, এসব তো জানিই না। আমরা বিক্রি করি শুধু।' তৃণমূল নেতা তিরিশ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছেন।
রাজনীতিক কারবারীদের মতে, লটারি বিক্রেতাকে ওই প্রশ্ন করে আদতে বিজেপিকেই নিশানা করতে চেয়েছেন কুণাল ঘোষ। কারণ, শুভেন্দু সহ বিজেপি নেতৃত্ব প্রায় নিয়ম করে রোজ দাবি করছেন, ডিয়ার লটারির সঙ্গে তৃণমূলের গোপণ যোগ রয়েছে। মানুষ অর্থের আশায় লটারি কিনলেও তার লাভ যাচ্ছে শাসক দলের নেতাদের ঘরে। অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা বা বিবেক গুপ্তার মতো তৃণমূল বিধায়কদের নিকট আত্মীয় লটারিতে লক্ষ, কোটি জিতছেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূল নেতারা লটারি জয়ের নামেই কালো টাকা সাদা করছেন।
অনুব্রত-সুকন্যার লটারি জয় নিয়ে সিবিআই তদন্তে নেমেছে। বোলপুরের লটারি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে বিস্তর। তদন্ত এগোতেই একাধিকবার বাপ-বেটির লক্ষ, কোটির লটারি জয়ের খবর সামনে এসেছে। যা তুলে ধরে বিজেপি তাঁদের দাবি প্রমাণে মরিয়া।
সত্যিই কী তাহলে, আগে থেকে লটারি কে জিতবেন তা স্থির করা হয়? বিক্রেতাকে পাল্টা এই প্রশ্ন ও তাঁর জবাবে কুণাল ঘোষ আদতে বলতে চাইলেন যে, বিজেপির ডিয়ার লটারি-তৃণমূলের আঁতাঁতের অভিযোগ বাস্তবে 'ভুয়ো'।