Kunal Ghosh challenges Justice Ganguly: সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে 'আদ্যান্ত সিপিএম' বলে দেগে দিয়েছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। এরপর সোমবার অবশ্য বিচারপতি নিজেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের প্রশংসা করেন। এজলাসেই দাবি করেছিলেন তাঁদের সম্পর্কটা 'বন্ধুত্বপূর্ণ'। যার প্রেক্ষিতে কুণালও 'ধন্যবাদ' জানিয়েছিলেন। তবে, এও বলেছিলেন যে, 'আমার দলের নেত্রী বা নেতাদের নিয়ে কথা বললে আমি ওঁর দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিতেই ওনার বিরুদ্ধে মুখ খুলি।' এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির উৎস নিয়ে মুখ খোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতো সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? হলফনামা দিয়ে সম্পত্তির খতিয়ান দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।' যার পাল্টা মঙ্গলবার বিচারপতিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কুণাল ঘোষ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কুণালের চ্যালেঞ্জ:
মঙ্গলবার দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খোলায় সেখানেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, ' আপনার নিজের ধারণা খারাপ নয়। কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বলে আপনার মাথায় বিষ ঢোকাচ্ছে। আপনার তো এবার শেষ বছর। এবছরই অবসর। তা আপনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে নিন। সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। ওই ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে আপনি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। আপনার যদি ক্ষমতা থাকে তবে কাগজে কলমে বিষোদগান না করে, মামলা বর্হিভূত কথা না বলে আপনার যদি অভিষেকের বিরোধিতা করার ইচ্ছা হয় তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধী কোনও একটা দল থেকে ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রার্থী হোন।'
কুণালের পরামর্শ:
অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান ও তার উৎস দেখে নেওয়ার জন্য বিচারপতিতে কুণালের পরামর্শ, 'যদি অভিষেকের সম্পত্তি নিয়ে এত কৌতুহল, তাহলে তাঁর হলফনামাগুলো দেখে নিন না। ওখানেই তো সব পেয়ে যাবেন। বাইরে প্রেসের সামনে হিরো সাজার বদলে, সামনের কম্পিউটার থেকে সব দেখে নিন। বিচারপতি হয়ে এক্তিয়ারের বাইরে চলে যাচ্ছেন। নিজের রাজনৈতিক উইশলিস্ট থেকে এ ধরণের কথা উনি বলে চলেছেন।'
কুণালের হুঁশিয়ারি:
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কুণাল ঘোষের হুঁশিয়ারি, 'বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ওনাকে ভগবান বলছে। এর মায়াজালে আপনি পড়বেন না। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। দশ চক্রে ভগবান ভূত। তাহলে ভগবানের ভূত হয়ে যাওয়ার পরিণতিও মেনে নিতে হবে।'