পঞ্চায়েত ভোটের তিন ঘন্টা অতিক্রান্ত। হিংসায় জ্বলছে বাংলা। প্রথম কয়েক ঘন্টাতেই ৫টি প্রাণ ঝরে গিয়েছে। দিকে দিকে ছাপ্পা, ভোট লুঠ, ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের অভিযোগ। সবচেয়ে অশান্ত মুর্শিদাবাদ জেলা। শুক্রবার রাত থেকে এই জেলায় দফায় দফায় বোমাবাজি ও গোলাগুলি চলেছে। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই কাপাসডাঙায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। নিজের বাড়ির বাইরে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী বাবর আলি। তাঁকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে, রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খড়গ্রাম ও রেজিনগরে আরও দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। তুফানগঞ্জেও এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেন এত হিংসা? তা নিয়ে সরব তৃণমূলব শিবির।
Advertisment
শনিবার সকালে তৃণণূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, যেখানে সম্ভব আইএসএফ, তারা একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রেজিনগর, তুফানগঞ্জে, খড়গ্রামে আমাদের কর্মী নিহত হয়েছেন। তৃণমূলীরা কংগ্রেস, সিপিএমের হাতে বিজেপির মদতে নিহত হয়েছে। কোথায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন তো রিকুইজেশন দিয়েছিল। সেই বাহিনী কোথায়। এই হিংসার দায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিতে হবে।'
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা ঘুরে ঘুরে বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে। নদ্রীগ্রাম ১-এর ঢেকুটিয়া ১-এর ৩৫ নং বুথে এই অভিযোগ এসেছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের এসব বলছে। কিন্তু মানুষ কর্ণপাত করছেন না। এটা বাংলা, এভাবে হয়?'