শুভেন্দুর ডিসেম্বর হুঁশিয়ারির পাল্টা এবার কুণালের জানুয়ারি ডেডলাইন! নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে শিক্ষানবীশ জ্যোতিষী বলে কটাক্ষ তৃণমূল নেতার। এরপরেই রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট। যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হল নতুন চর্চা।
তৃণমূলকে তুলোধনা করতে গিয়ে গত কয়েক মাসে একগুচ্ছবার ডিসেম্বর ডেডলাইন প্রসঙ্গ টেনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিন কয়েক আগে ডিসেম্বরের তিনটি তারিখ বলে দিয়ে জল্পনার পারদ তুঙ্গে তুলেছেন বিজেপি নেতা। এবার বিরোধী দলনেতার ডিসেম্বর ডেডলাইনের পাল্টা কুণালের জানুয়ারি হুঁশিয়ারি। টুইটে এদিন তৃণমূল নেতা লিখেছেন, ''একজন শিক্ষানবিশ জ্যোতিষীর দেওয়া কিছু তারিখ দেখার পর এখন আমি একটা তারিখ ও সময় দিচ্ছি। এটি আমি একজন বিশিষ্ট জ্যোতিষীর কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি বলেন, বিয়ের তারিখ ছাড়া ডিসেম্বরে কোনও তারিখ নেই, যাকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু ২ জানুয়ারী দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।''
গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-মিছিলে ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়ে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাও ডিসেম্বর ডেডলাইন তুলে ধরে রাজ্যের শাসকদলকে পরোক্ষে নিশানা করে চলেছেন। কী ঘটতে চলেছে চলতি মাসে? এই আলোচনাই সর্বত্র। ‘ডিসেম্বরে বড় চোর ধরা পড়বে’, আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন- ‘হাত গণনায় চলে গেছে, অধিকারী থেকে শাস্ত্রী হল?’ শুভেন্দুর ডিসেম্বর ডেডলাইনে মদন ‘বাণ’
চলতি মাসের ৩ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে প্রকাশ্য সভা করেন বিজেপি নেতা। ভরা সভায় দাঁড়িয়ে এই ডিসেম্বরেই ডায়মন্ড হারবারবাসীকে লাড্ডু খাওয়ানোরও ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কেন তিনি ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে লাড্ডু বিলি করতে চান তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি বিজেপি বিধায়ক।
তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ডেডলাইনের পাল্টা জানুয়ারি ডেডলাইন তুলে ধরে রাজনীতির উত্তাপ বাড়ালেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু যেমন তাঁর হুঁশিয়ারির কারণ খোলসা করেননি, তেমনি কুণালও ২ জানুয়ারি দিনটিকে কেন গুরুত্বপূর্ণ বলছেন সেটা ব্যাখ্যা করেননি।