তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটবেলার একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশের কুৎসার পাল্টা এবার কুণাল ঘোষ। আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার।
Advertisment
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেবেলার একটি ছবিকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার নিয়ে কুৎসা করার অভিযোগ উঠেছে একাংশের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক দম্পতির সঙ্গে রয়েছে একটি শিশু। সেই শিশুটি সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে থাকা শিশুটির বাবা-মাকে নিয়েই কুরুচিকর কুৎসা রটানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ পাল্টা লিখেছেন, "জেনে রাখুন, ছবিতে পুত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবির অপপ্রয়োগ করে একাংশের জানোয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে বিকৃত ইঙ্গিতপূর্ণ কুৎসিত প্রচার করছে। বিজেপি এবং বিরোধীদের একাংশ কুৎসাকারীদের 'স্পনসর' করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ধরণের নোংরা আক্রমণ যারা করছে, তারা জেনে রাখুক, শৈশব থেকে পরিবারে তাঁর লড়াকু জীবন, ভাইবোনেদের নিয়ে অভিভাবকের ভূমিকা পালন, রাজনীতিতে কত সংগ্রাম করে এগিয়ে চলা, বাংলা তথা ভারতের মানুষ জানেন, গোটা বিশ্বের বাঙালি, প্রবাসী ভারতীয়রা মমতাদিকে ভালোবাসেন, সম্মান করেন। এই ছবির অপব্যবহার ও বিকৃত প্রচার যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও জরুরি।"
কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে আরও লিখেছেন, "আরও বলে রাখি, যাঁর লেখা একটি বইকে ব্যবহার করে এত অপপ্রচার, জেনে রাখুন, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পুত্রবধূ অভিনেত্রী শম্পা ঘোষ, যিনি শত্রুঘ্ন সিনহার 'অন্তর্জলী যাত্রা' ছবির নায়িকা। এই অভিযোগ এবং আরও কিছু অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ব্যক্তিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। সেসময় দেখা যায়, সিপিএমের দুই নেতার সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগাযোগ নিবিড় হয়। পুত্রবধূর করা অভিযোগে বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করা বই লিখে সিপিএমের গুডবুকে থেকে গ্রেপ্তার এড়ান ওই ব্যক্তি। শম্পা ঘোষ যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালমৃতা না হতেন, তাহলে ওই ব্যক্তির কপালে দুঃখ ছিল।"