দুপুরে কুড়মি সমাজের আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিলেন সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত মাহাত। ফলে আশা ছিল পাঁচ দিনের অবরোধ দুর্ভোগ মিটবে। কিন্তু, সে গুড়ে বালি। শনিবার বিকেলের পরও পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতেও অবরোধ আন্দোলন ওঠেনি। তা চলবে বলেই দাবি স্থানীয় কুড়মি নেতৃত্বের। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় এই অঞ্চলের স্থানীয় কুড়মি নেতারা।
আন্দোলন জারি রাখার পক্ষে সুরেশ মাহাতোর বক্তব্য, 'কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘোষণা আমরা মানছি না।' কুড়মি সমাজের রাজ্য সম্পাদক রাজেশ মাহাতো বলেন, 'দাবিপূরণে সরকারি ভাবে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। পাঁচ দিন ধরে রাস্তায়, রেল লাইনে বসে রয়েছি। অবরোধের ফলে আটকে পড়া গাড়ির চালক, খালাসিদের খাবার সমস্যা হচ্ছে। আমাদের এখানে যা খাবার আছে, তা থেকেই ওঁদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই আন্দোলন করছি।'
অর্থাৎ কুড়মি সমাজের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর সঙ্গে স্থানীয় নেতা ও ওই সস্প্রদায়ের মানুষদের মতপার্থক্য রয়েছে তা স্পষ্ট। এখন দেখার অবরোধ আন্দোলন ভবিষ্যতে কোন পথে মোড় নেয়।
শনিবার কুড়মিদের আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়েছে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর- এই তিন জেলায় সড়ক, রেল অবরোধের জেরে চরম অচলাবস্থা চলছে। রাস্তায় আটকে রয়েছে গাড়ি। রেল যোগাযোগ ব্যহত। নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কুড়মিদের স্থানীয়দের নেতাদের অবরোধ আন্দোলন চালানোর সিদ্ধান্তে অস্বস্তি আরও বাড়ল।