অবশেষে স্বস্তির খবরটা মিলল মহালয়ার সকালে। রেল-সড়ক অবরোধ তুলে নিলেন কুড়মিরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হল। একটানা ৬ দিনের মাথায় পুরোপুরিভাবে তুলে নেওয়া হল সড়ক-রেল অবরোধ।
কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা ও তাঁদের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে চলছিল লগাতার অবরোধ-বিক্ষোভ। গত মঙ্গলবার থেকে রেললাইন ও জাতীয় সড়ক আটকে রেখে চলচিল এই বিক্ষোভ। কুড়মিদের এই দাবির বিষয়গুলির অধিকাংশই দেখার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারকে শুক্রবারই চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী লেখা চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বিক্ষোভ-অবরোধ জট না কাটারই ইঙ্গিত মেলে।
যদিও হাল ছাড়েনি প্রশাসন। কুড়মি নেতাদের সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রশাসনের অনুরোধে শনিবারই লাগাতার আন্দোলন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত মিলেছিল। অন্য জায়গায় বিক্ষোভ-অবরোধ উঠতেও শুরু করে। যদিও কুড়মি নেতাদের মধ্যেই এরপর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্ক অতীত, মহালয়ার সকালে ঘাটে ঘাটে চেনা ভিড়, পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা!
একাংশ চাইছিলেন বিক্ষোভ উঠে যাক, যদিও তাঁদেরই অন্য একটি অংশ লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই ছিলেন। সেই কারণে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে আজ সকাল পর্যন্তও রেল রোকো চলে।
তবে শনিবার গভীর রাতে আবারও কুড়মি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। পুজোর মুখে দিনের পর দিন ধরে জাতীয় সড়ক, রেললাইন আটকে রাখার ফলে কোটি-কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির বিষয়টিও তাঁদের জানানো হয়। শেষমেশ দফায়-দফায় আলোচনাতেই মেলে সাফল্য।
আরও পড়ুন- ‘বিশ্বাস’ নিয়ে শিবমন্দিরে গেলেই পূর্ণ হবে মনস্কামনা! দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো ঘিরে রয়েছে এক আবেগ
মহলায়ার সকালে খেমাশুলিতে রেল ও জাতীয় সড়ক ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেল রোকো তুলে নেওয়া হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেন কুড়মি নেতারা। ৬ দিনের মাথায় উঠে যায় অবরোধ-বিক্ষোভ। তবে দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে ফের লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কুড়মি সমাজ।