পাহাড় তাঁর মনের খুব কাছের। প্রায়ই এ কথা বলে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার পাহাড়ের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধনে যুক্ত হওয়ার কথা শোনালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। জানিয়ে দিলেন এ জন্য তিনি খুব খুশি।
Advertisment
কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উদযাপনে এ দিন দার্জিলিংয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময় তাঁর পরিবারের কথা তুলে ধরেন মমতা। বলেন, "আপনারা জানলে খুশি হবেন যে, আমার এক ভাইপোর সঙ্গে কার্শিয়াংয়ের মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। ও আমাদের বাড়ি গেলে আমি ওর থেকে গোর্খা শিখে নেব। আমার ভাইপো ডাক্তার, মেয়েটিও ডাক্তার। ভালই হবে। এভাবেই আমার পরিবার পাহাড়ের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে গেল, পাশাপাশি রাজ্য সরকারও। আমি খুব খুশি।"
অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিং রাজভবনে যান। এ দিনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পাহাড়ের রাজভবনে যান। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জানা গিয়েছে, যেহেতু পাহাড় সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই তাঁকে রাজভবনে চাচক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়।
বুধবার সকালে পাহাড়ের রাস্তায় হাটতে হাটতে জনসংযোগ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন পাহাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব, অভিযোগ শোনেন। কচিকাচাদের চকলেট দেন। এরপর হাটতে হাটতেই মুখ্যমন্ত্রী চলে যান রাজভবনের দিকে। সেখানে অবহেলায় বিবর্ণ গান্ধী মূর্তি দেখে তা রং করার নির্দেশ দেন তিনি। গান্ধী মূর্তির পাশেই নেতাজির একটি মূর্তি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।